মাত্রা ছাড়িয়ে ওজন? শিশুদের কী কী সমস্যা হতে পারে জানেন?

বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা, সাধারণ মানুষ এখনই সতর্ক না হলে ২০২৫ সালে অতিরিক্ত ওজনের শিশুদের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াবে প্রায় ১ কোটি ৭০ লক্ষেরও বেশি।

বড় থেকে বাচ্চা সবাই অতিমারির ধাক্কায় জর্জরিত। বড়দের মতই খুদেরাও এক বছর ধরে গৃহবন্দি দশায় জীবন কাটিয়েছে। স্কুল যাওয়া বন্ধ, পার্কে খেলাধুলা বন্ধ, স্বাভাবিক জীবনের ছন্দপতন ঘটেছে ওদেরও। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (WHO) সমীক্ষা অনুযায়ী, পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুদের মধ্যে ৪ কোটিরও বেশি শিশুর ওজন স্বাভাবিকের চেয়ে অতিরিক্ত। গবেষণালব্ধ তত্ত্ব অনুযায়ী, উন্নত এবং উন্নয়নশীল দেশ গুলিতে ৫ থেকে ১৭ বছর বয়সি শিশু এবং কিশোর বয়সীদের মধ্যে প্রায় ১০ শতাংশের ওজন স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি। বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা, সাধারণ মানুষ এখনই সতর্ক না হলে ২০২৫ সালে অতিরিক্ত ওজনের শিশুদের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াবে প্রায় ১ কোটি ৭০ লক্ষেরও বেশি। অল্প বয়স থেকেই অতিরিক্ত ওজন শরীরের অসুখের আখড়া হয়ে দাঁড়ায়। উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, ফ্যাটি লিভারের মত সমস্যাগুলি দেখা দেয়। এছাড়াও অতিরিক্ত ওজনের ফলে শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যা দেখা দিতে পারে। স্বাভাবিকের থেকে বেশি ওজন হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

অতিরিক্ত ওজনের হাত থেকে শিশুদের বাঁচাতে হলে বিশেষ কয়েকটি দিকে নজর দেওয়া জরুরি।

ওজন ঠিক রাখার চাবিকাঠি:

  • শিশুদের সকালের ব্রেকফাস্ট দিন পর্যাপ্ত পরিমাণে। দোকানে বিক্রি হওয়া হেলথ ড্রিঙ্কসের পরিবর্তে দই-চিড়ে, ওটস, রুটি-তরকারি, স্যুপ, ফল বা বাড়িতে তৈরি টাটকা ফলের রস ইত্যাদি খাওয়ানোর অভ্যাস করাতে হবে।
  • সকালে উষ্ণ গরম জলে পাতিলেবুর কয়েক ফোঁটা মিশিয়ে খাওয়ান। লেবুর জল বাচ্চা থেকে বুড়ো সকলের জন্যই বেশ কার্যকরী। ওজন কমানোর পাশাপাশি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে।
  • প্রতিদিন নিয়ম করে এক ঘন্টা বাচ্চাদের দৌড়াদৌড়ি করতে দিন। খেলায় খেলায় ঝরবে শরীরের মেদ।

Comments are closed.