‘টুকড়ে টুকড়ে গ্যাং’ শব্দবন্ধের চার বছর পূর্ণ হবে এই ফেব্রুয়ারি মাসেই। তবে সরকারিভাবে এই ‘গ্যাং’- এর অস্তিত্ব খুঁজে পেল না কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। সোমবার সাংবাদিক সাকেত গোখলের আরটিআই- এর উত্তরে কেন্দ্র জানিয়েছে, টুকড়ে টুকড়ে গ্যাং সম্পর্কে কোনও তথ্য নেই তাদের কাছে।
২০১২ সালের ফেব্রুয়ারি মাস। জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন ছাত্র সংসদের নেতা কানহাইয়া কুমার, সাইলা রশিদ, উমর খালিদ প্রমুখের বিরুদ্ধে দেশবিরোধী স্লোগান দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। দেশদ্রোহিতার অভিযোগে গ্রেফতারও করা হয় কানহাইয়া কুমারদের। সেই থেকে মূলত বিজেপি ও দক্ষিণপন্থী সংগঠনগুলি এঁদের ‘টুকড়ে টুকড়ে গ্যাং’ বলে আক্রমণ শুরু করে। অভিযোগ, এঁরা ভারতে থেকে দেশ বিভাজন করতে চান। এরপর একাধিক ঘটনার প্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং অন্যান্য বিজেপি নেতা-মন্ত্রীর মুখে শোনা যায় এই গ্যাং-এর কথা। কিন্তু এই গ্যাং-এর সংজ্ঞা কী? কারা এর সদস্য ও নেতা? এদের বিরুদ্ধে সরকার কী আইনি ব্যবস্থা নিচ্ছে, এই গ্যাংয়ের সদস্য হলে শাস্তি কী? এমনই একগুচ্ছ প্রশ্ন তুলে গত ২৬ ডিসেম্বর আরটিআই করেছিলেন সাংবাদিক সাকেত গোখলে। ঠিক তার আগের দিন দিল্লির এক সভা থেকে অমিত শাহ ঘোষণা করেন, ‘টুকড়ে টুকড়ে গ্যাং- কে শিক্ষা দেওয়ার প্রয়োজন।’
দীর্ঘ টালবাহানার পর সেই তথ্যের অধিকার আইনের জবাব দিয়েছে অমিত শাহের মন্ত্রক। মাত্র দশ শব্দের প্রতিক্রিয়ায় কেন্দ্র জানিয়েছে, টুকড়ে টুকড়ে গ্যাং নিয়ে কোনও তথ্য নেই সরকারি খাতায়।
সোমবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের এই প্রতিক্রিয়া নিজের ট্যুইটার হ্যান্ডেলে প্রকাশ করেন সাকেত গোখলে। ওই ট্যুইটে তিনি লেখেন, সরকারিভাবে জানা যাচ্ছে টুকড়ে টুকড়ে গ্যাং-এর কোনও অস্তিত্ব নেই। এই গ্যাং শুধুমাত্র অমিত শাহদের কল্পনা মাত্র। পাশাপাশি বিজেপির নেতা-মন্ত্রীদের মিথ্যেবাদী বলেও আক্রমণ করেন সাকেত গোখলে।
প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে জেএনইইউ- তে কানহাইয়া কুমারদের বিরুদ্ধে দেশবিরোধী স্লোগান তোলার অভিযোগ ঘিরে যে ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়ে, তার সত্যতা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করে আদালত। যদিও বিজেপির নেতা-মন্ত্রীরা জেএনইউ আন্দোলন হোক কিংবা বিরোধীদের আক্রমণ করার জন্য হোক, এই শব্দবন্ধ ব্যবহার করতে বেশি স্বচ্ছন্দ।
২০১২ সালের ফেব্রুয়ারি মাস। জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন ছাত্র সংসদের নেতা কানহাইয়া কুমার, সাইলা রশিদ, উমর খালিদ প্রমুখের বিরুদ্ধে দেশবিরোধী স্লোগান দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। দেশদ্রোহিতার অভিযোগে গ্রেফতারও করা হয় কানহাইয়া কুমারদের। সেই থেকে মূলত বিজেপি ও দক্ষিণপন্থী সংগঠনগুলি এঁদের ‘টুকড়ে টুকড়ে গ্যাং’ বলে আক্রমণ শুরু করে। অভিযোগ, এঁরা ভারতে থেকে দেশ বিভাজন করতে চান। এরপর একাধিক ঘটনার প্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং অন্যান্য বিজেপি নেতা-মন্ত্রীর মুখে শোনা যায় এই গ্যাং-এর কথা। কিন্তু এই গ্যাং-এর সংজ্ঞা কী? কারা এর সদস্য ও নেতা? এদের বিরুদ্ধে সরকার কী আইনি ব্যবস্থা নিচ্ছে, এই গ্যাংয়ের সদস্য হলে শাস্তি কী? এমনই একগুচ্ছ প্রশ্ন তুলে গত ২৬ ডিসেম্বর আরটিআই করেছিলেন সাংবাদিক সাকেত গোখলে। ঠিক তার আগের দিন দিল্লির এক সভা থেকে অমিত শাহ ঘোষণা করেন, ‘টুকড়ে টুকড়ে গ্যাং- কে শিক্ষা দেওয়ার প্রয়োজন।’
দীর্ঘ টালবাহানার পর সেই তথ্যের অধিকার আইনের জবাব দিয়েছে অমিত শাহের মন্ত্রক। মাত্র দশ শব্দের প্রতিক্রিয়ায় কেন্দ্র জানিয়েছে, টুকড়ে টুকড়ে গ্যাং নিয়ে কোনও তথ্য নেই সরকারি খাতায়।
সোমবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের এই প্রতিক্রিয়া নিজের ট্যুইটার হ্যান্ডেলে প্রকাশ করেন সাকেত গোখলে। ওই ট্যুইটে তিনি লেখেন, সরকারিভাবে জানা যাচ্ছে টুকড়ে টুকড়ে গ্যাং-এর কোনও অস্তিত্ব নেই। এই গ্যাং শুধুমাত্র অমিত শাহদের কল্পনা মাত্র। পাশাপাশি বিজেপির নেতা-মন্ত্রীদের মিথ্যেবাদী বলেও আক্রমণ করেন সাকেত গোখলে।
প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে জেএনইইউ- তে কানহাইয়া কুমারদের বিরুদ্ধে দেশবিরোধী স্লোগান তোলার অভিযোগ ঘিরে যে ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়ে, তার সত্যতা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করে আদালত। যদিও বিজেপির নেতা-মন্ত্রীরা জেএনইউ আন্দোলন হোক কিংবা বিরোধীদের আক্রমণ করার জন্য হোক, এই শব্দবন্ধ ব্যবহার করতে বেশি স্বচ্ছন্দ।
Comments are closed.