নিরাপত্তার খাতিরে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন থেকে সংসদে যাওয়ার জন্য তৈরি হচ্ছে নতুন সুড়ঙ্গ পথ। সংসদ ভবন, নর্থ ও সাউথ ব্লক সংস্কারের পর প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন থেকে পার্লামেন্ট পর্যন্ত তৈরি হবে ওই টানেল। শুধুমাত্র প্রধানমন্ত্রীর আসা-যাওয়ার জন্য ব্যবহৃত হবে এই সুড়ঙ্গ পথ। দিল্লির রাজপথ ধরে হাই প্রোফাইল মন্ত্রী, রাজনীতিবিদদের কনভয় পাশ করানোর সময় আটকে পড়তে হয় সাধারণ মানুষকে। এই কারণেই এই নয়া টানেলের পরিকল্পনা বলে সূত্রের খবর।
সেন্ট্রাল ভিস্তার মাস্টার প্ল্যানার বিমল প্যাটেল সম্প্রতি এই টানেল সংক্রান্ত একটি পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন পেশ করেছেন। সেখানে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনকে সাউথ ব্লকের একেবারে কাছে নিয়ে আসার পরিকল্পনা রয়েছে। তাছাড়া নর্থ ও সাউথ ব্লকে দুটি জাতীয় সংগ্রহশালা তৈরি হবে। ২০২৪ সালের মধ্যে গোটা প্রকল্পের কাজ সম্পূর্ণ হবে বলে জানান তিনি।
কয়েক দিন আগে সিইপিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেসিডেন্ট, মাস্টার প্ল্যানার বিমল প্যাটেল এক সভায় জানান, রাজপথে যান চলাচল আরও সহজ করতেই এই প্রজেক্ট শুরু হচ্ছে। পাশাপাশি এতে প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তাও নিশ্ছিদ্র হবে বলে মন্তব্য করেন পদ্মশ্রী সম্মানিত আর্কিটেক্ট বিমল প্যাটেল।
তাঁর পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন অনুযায়ী, প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন সাউথ ব্লকে আরও এগিয়ে আনা হচ্ছে এবং উপ-রাষ্ট্রপতির ভবন হচ্ছে নর্থ ব্লকের পিছন দিকে। প্রতিরক্ষাকর্মীদের থাকার জায়গায় আনা হচ্ছে প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা স্পেশাল প্রোটেকশন গ্রুপ (এসপিজি)-র অফিস। দুটি ব্লকে যে বিভিন্ন মন্ত্রীরা থাকেন, সেখানে তৈরি হবে দেশের অন্যতম সংগ্রহশালা। পাশাপাশি, দশটি নতুন বিল্ডিংয়ে ৫০ থেকে ৬০ হাজার সরকারি কর্মচারীর থাকার বন্দোবস্ত করা হবে। এতে প্রতিবছর আনুমানিক যে এক হাজার কোটি টাকা ভাড়াবাবদ ব্যয় হত, তা বন্ধ হবে বলে জানান বিমল প্যাটেল।
পাওয়ার প্রেজেন্টেশন শেষ হতেই শ্রোতাদের মধ্য থেকে অনেকে দিল্লির দূষণ নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। প্রশ্ন ওঠে, দূষণে বিপর্যস্ত দিল্লির ওই সবুজ অংশে ৫০- ৬০ হাজার মানুষের থাকার বন্দোবস্ত হলে তা পরিবেশের পক্ষে বিপজ্জনক হবে না তো? প্যাটেল তাঁদের আশ্বস্ত করেন, প্রচুর পার্ক তৈরি হবে সংশ্লিষ্ট জায়গায়। লাগানো হবে প্রচুর গাছ।
Comments are closed.