দুই বন্ধু মিলে ২০ হাজার টাকা দিয়ে ব্যবসা শুরু করে আজ ৮৮ হাজার কোটির কোম্পানির মালিক, দুই বন্ধুর এই সংগ্রামের গল্প অনুপ্রেরণা জোগাচ্ছে কোটি কোটি যুবক দের
আমাদের সকলের জীবনে এমন একজন বন্ধু থাকে যাকে আমরা মনের সমস্ত কথা ভাগ করেনি যার সঙ্গে সুখ-দুঃখের প্রতিটা মুহূর্ত আমাদের কাটে কিন্তু এরকম বন্ধু পাওয়া সত্যিই খুব ভাগ্যের বিষয় সকলের কপালে এরকম বউ জোটে না। একে অপরের বিপদে আপদে ঝাঁপিয়ে পড়বে সমস্ত সুখ-দুঃখ ভাগ করে নেবে। আজ আমরা আপনাদের এমন দুজনের কথাই বলবো যারা দুজন মিলে একটি ব্যবসা শুরু করে এবং বর্তমানে তারা কয়েক কোটি টাকার মালিক।
প্রায়ই দেখা গেছে বন্ধুত্ব যখন ব্যবসায়িক অংশীদারিত্বে পরিণত হয়, তখন তার মধ্যে ফাটল ধরে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। কিন্তু ইমামির প্রতিষ্ঠাতা এক্ষেত্রে ব্যতিক্রম। ছোটবেলার বন্ধুত্বের থেকে ব্যবসা শুরুর পর দুই পরিবারের গভীরতা বেড়েছে বই কমেনি। আজ আমরা রাধেশ্যাম আগরওয়াল এবং রাধেশ্যাম গোয়েঙ্কার কথা বলছি। দুই বন্ধুই ২০০০০ টাকা দিয়ে ব্যবসা শুরু করে। আজ তার ইমামি গ্রুপের ব্যবসা ২৫০০০ কোটি টাকার মালিক।
রাধেশ্যাম গোয়েঙ্কা এবং রাধেশ্যাম আগরওয়াল কলকাতার একই স্কুলে পড়াশোনা করেছেন। রাধেশ্যাম আগরওয়াল রাধেশ্যাম গোয়েঙ্কার সিনিয়র ছিলেন। দুজনের পরিচয় হয় এক কমন ফ্রেন্ডের মাধ্যমে। ১৯৬৪ সালে, আগরওয়াল B.Com পাশ করেন এবং চার্টার্ড অ্যাকাউন্টেন্সি অধ্যয়ন করেন। গোয়েঙ্কা এক বছর পরে তার B.Com শেষ করেন এবং M.Com এবং LLB করতে যান। গোয়েঙ্কার দেখাদেখি আগরওয়ালও সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন যে তাকে তার আইনি দক্ষতা বাড়াতে হবে এবং তিনিও আইন অনুসরণ করতে গোয়েঙ্কার সাথে যোগ দিয়েছিলেন। কলেজ শেষ করার আগেই, আগরওয়াল এবং গোয়েঙ্কা বেশ কয়েকটি ব্যবসায় তাদের হাত চেষ্টা শুরু করেছিলেন।
এরপর দুজনেই পাঁচ বছর বিড়লা গ্রুপ এ কাজ করেন। সেখান থেকে ব্যবসায়ীক বুদ্ধি নিয়ে নিজেদের কোম্পানি খোলেন দুজনে। দুজনে মিলে সে কোম্পানির নাম রাখেনি মামী তাদের কোম্পানির প্রথম প্রডাক্টিভ হলো ভ্যানিশিং ক্রিম। এরপর তারা দেখলেন যে আগের ট্যালকম পাউডার আসতেও টিনের কৌটোতে সেগুলো দেখতে আকর্ষনীয় ছিল না তাই তারা ঠিক করল প্লাস্টিকের ব্যবসা করে তার কোন পাউডার আনবে যা দেখতে সুন্দর এবং স্টাইলিশ হবে যা ক্রেতাদের নজর খুব সহজেই আকৃষ্ট করবে। এর পরেই হিট করে যায় তাদের কোম্পানি তারপর থেকে কোম্পানিকে আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি। বর্তমানে ইমামি গ্রুপের ব্যবসা ছড়িয়ে আছে ৬০টিরও বেশি দেশে এবং বাজারে ১৩০ টিরও বেশি ইমামির পণ্য বিক্রি হয়। ২০২০-২১ আর্থিক বছরে ২৮৮১ কোটি টাকার রেকর্ড টার্নওভার করে। একই সময়ে, বিএসইতে কোম্পানির বাজার মূলধন ২২,১৪৩ কোটি টাকা। বর্তমানে পরবর্তী প্রজন্মের হতে ভার তুলে দিয়েছেন। আরএস গোয়েঙ্কার বড় ছেলে মোহন গোয়েঙ্কা এবং আরএস আগরওয়ালের ছোট ছেলে হর্ষ আগরওয়াল এখন কোম্পানির ভাইস-চেয়ারম্যান এবং ম্যানেজিং ডিরেক্টর। এছাড়াও কোম্পানির বাকি প্রতিষ্ঠাতারা কোম্পানির বোর্ডে আছেন।er
Comments are closed.