মৃত্যু হল উন্নাও গণধর্ষণ-কাণ্ডে নির্যাতিতার। দিল্লির হাসপাতালে শুক্রবার রাত ১১ টা ৪০ মিনিট নাগাদ মারা গেলেন বছর ২৩ এর ওই তরুণীর। এই মৃত্যুকে ইস্যু করে বিরোধীরা যোগী আদিত্যনাথ সরকারের বিরুদ্ধে সরব। সমাজবাদী পার্টির নেতা অখিলেশ যাদব শনিবার সকালে দলবল নিয়ে বিধানসভার সামনে অবস্থানে বসে যান। তিনি মুখ্যমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রসচিব এবং রাজ্য পুলিশের ডিজি-র পদত্যাগ দাবি করেন। তাঁর দল ওই তরুণীর স্মরণে রাজ্যের সব জেলায় শোকসভার আয়োজন করবে। তাঁর অভিযোগ, রাজ্যের বিজেপি সরকার মহিলাদের নিরাপত্তা দিতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ। আর এক প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মায়াবতী দাবি করেন, সংসদের চলতি অধিবেশনেই ধর্ষণে অভিযুক্তদের জন্য অত্যন্ত কড়া আইন আনা উচিত, যাতে দ্রুত বিচার পর্ব শেষ করে তাদের কঠোর শাস্তি দেওয়া যায়। কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বঢরার অভিযোগ, কেবল উন্নাওতেই গত ১১ মাসে ৯০ জন মহিলা ধর্ষিতা হয়েছেন। এর মধ্যেই মৃতার কাকা-কেও হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠছে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে। বিরোধীদের চাপের মুখে পড়ে মুখ্যমন্ত্রী এদিন সকালেই জানান, এই ঘটনায় ফাস্ট ট্র্যাক কোর্টে অপরাধীদের বিচার হবে।।
বছর খানেক আগে ওই তরুণীকে গণধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ ওঠে। তারই বিচার পর্ব চলছে। অভিযুক্তরা পাঁচ দিন আগে জামিনে ছাড়া পায়। আদালতে যাওয়ার সময় বৃহস্পতিবার অভিযুক্তদের হাতে আক্রান্ত হন তিনি। নির্যাতিতাকে ধাওয়া করে তাঁর গায়ে পেট্রোল ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেয় পাঁচ দুষ্কৃতী। শুধু তাই নয়, তার আগে তাঁকে লাঠি পেটা করা হয় ও গলায় ছুরিও চালানো হয়। প্রায় এক কিমি পথ জলন্ত অবস্থায় তিনি ছুটে বেড়ান এবং চিৎকার করে সাহায্য চান। স্থানীয় বাসিন্দারা উদ্ধার করেন নির্যাতিতাকে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে প্রথমে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে পুলিশ ৯০ শতাংশ পোড়া অবস্থায় ওই তরুণীকে দিল্লির সফদরজঙ্গ হাসপাতালে নিয়ে যায় এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে।
Comments are closed.