শেষ পর্যন্ত কি জল্পনাই সত্যি হতে চলেছে? আগামী লোকসভা নির্বাচনে উত্তর প্রদেশে এক সময়ের দুই প্রতিদ্বন্দ্বী দল, সমাজবাদী পার্টি এবং বহুজন সমাজ পার্টি কংগ্রেসকে ছাড়াই জোট গড়তে চলেছে বলে সূত্রের খবর। কংগ্রেসেকে নিয়ে যে তাঁরা খুশি নন, তা আগেই প্রকাশ্যে এসেছিল অখিলেশ ও মায়াবতীর একাধিক কংগ্রেস বিরোধী মন্তব্যে।
শুক্রবার, জোটের ব্যাপারে বিএসপি প্রধান মায়াবতী ও সমাজবাদী পার্টি প্রধান অখিলেশ যাদবের দীর্ঘ সময় ধরে বৈঠক হয় দিল্লিতে। সূত্রের খবর, দুই দলের প্রধান বিজেপি এবং কংগ্রেসের বিরোধিতায় লোকসভা ভোটের ময়দানে নামছেন। নিজেদের মধ্যে আসন সমঝোতার ব্যাপারে অখিলেশ এবং মায়াবতী আগামী ১৫ ই জানুয়ারি চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন বলে জানা গিয়েছে। অজিত সিংহের আরএলডি’ও হাত মিলিয়েছে অখিলেশ ও মায়াবতীর জোটে।
তবে, কংগ্রেসের সঙ্গ ত্যাগ করলেও রাহুল এবং সোনিয়ার আমেঠি এবং রায়বেরিলিতে তাদের কোনও প্রার্থী দিচ্ছেন না মায়াবতী বা অখিলেশ।
গত সপ্তাহে, মধ্য প্রদেশে কংগ্রেস নেতৃত্বের বিরুদ্ধে অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন অখিলেশ যাদব। কমল নাথের ক্যাবিনেটে তাঁর দলের একজনকেও মন্ত্রিত্ব না দেওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেছিলেন, সমাজবাদী পার্টির পরবর্তী পদক্ষেপ কী হবে তা নির্ধারণ করে দেওয়ার জন্য কংগ্রেসকে অশেষ ধন্যবাদ। এই মন্তব্যের পর, একরকম পরিষ্কার হয়ে গিয়েছিল, আগামী লোকসভায় কংগ্রেস এবং বিজেপির বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করতে চলেছেন অখিলেশ। জোটসঙ্গী হিসেবে মায়াবতীকে যে পাশে পাবেন, এইঙ্গিতও পূর্বে পাওয়া গিয়েছিল। রাজনৈতিক মহলের সেই জল্পনাকেই শুক্রবার শিলমোহর বসালেন অখিলেশ-মায়াবতী।
মায়াবতীর বিএসপির সমর্থনে মধ্য প্রদেশে কংগ্রেস সরকার গড়লেও, সেই ‘পাশে থাকা’ যে দীর্ঘমেয়াদি নাও হতে পারে পরিষ্কার হতে শুরু করেছিল। মধ্য প্রদেশে বিধানসভা ভোটের ফলাফলের পর মায়াবতী বোঝাতে চেয়েছিলেন, কিছুটা বাধ্য হয়েই যেন কংগ্রেসকে সমর্থন জানিয়েছিলেন তিনি। কমল নাথের সরকারকে সমর্থন জানানোর পর মায়াবতী মন্তব্য করেছিলেন, বিজেপিকে ক্ষমতা থেকে ছেঁটে ফেলতে কংগ্রেসের পাশে দাঁড়িয়েছে তাঁর দল। পাশাপাশি, কেন্দ্রে বিজেপি সরকার গড়ার জন্য পরোক্ষে দায়ী কংগ্রেস বলেও ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন।
২০১৪ সালের সাধারণ নির্বাচনে উত্তর প্রদেশের ৮০টি আসনের ৭৩ টি আসনে জয়লাভ করলেও, গত বছর উপনির্বাচনে গোরক্ষপুর, ফুলপুর এবং কাইরিনা আসনে বিজেপি পরাস্ত হয়েছিল এই জোটের কাছে।
Comments are closed.