বিজেপি-সঙ্গ ত্যাগ করে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা থেকে ইস্তফা দিলেন উপেন্দ্র খুশওয়া, দেখা করলেন রাহুলের সঙ্গে
২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচন দোরগোড়ায়। ঠিক তার আগেই বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোট ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিলেন রাষ্ট্রীয় লোক সমতা পার্টির প্রধান উপেন্দ্র খুশওয়া। ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর পদ থেকেও ইস্তফা দিয়েছেন বিজেপির বিহারের জোট সঙ্গী উপেন্দ্র খুশওয়া। বিহারে বিজেপি ও নীতীশ কুমারের জোট এবং ২০১৯ সালের নির্বাচনে এনডিএ’র আসন সমঝোতাতেও খুশি নন রাষ্ট্রীয় লোক সমতা পার্টি (আরএল এসপি) প্রধান।
পাশাপাশি কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা থেকে ইস্তফা দেওয়ার আগে খুশওয়া দেখা করেছেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীর সঙ্গে। যা নিয়ে জোর চাপান-উতোর শুরু হয়েছে, কংগ্রেসের সঙ্গে জোট গড়তে চলেছে আরএলএসপি।
তাঁর ইস্তফা পত্রে উপেন্দ্র খুশওয়া জানিয়েছেন, পাঁচ বছর আগে বিপুল প্রত্যাশা নিয়ে এনডিএ জোটে শরিক হয়েছিল তাঁর দল। ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের সময় বিহারসহ ভারতের উন্নয়নে যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল বিজেপি, তা পূরণ হয়নি। একারণেই বিজেপি নেতৃত্বাধীন জোট ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।
উপেন্দ্র খুশওয়ারের এই সিদ্ধান্তের জেরে লোকসভা নির্বাচনে বিহারে একাধিক আসন বিজেপির কাছে মাথাব্যথার কারণ হল বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। অন্যদিকে, বিজেপি বিরোধী শক্তি, মূলত আরজেডির তেজস্বী যাদবকেও স্বস্তি এনে দিল বলে মনে করা হচ্ছে। নীতীশ কুমারের বিরোধী শরদ যাদব ইতিমধ্যেই জনতা দল ইউনাইটেড(জেডিইউ ) ছেড়েছেন।
বিহারে নীতীশ কুমারের সঙ্গে বিজেপির জোটকে ভাল চোখে নেননি আরএলএসপি প্রধান। লোকসভা নির্বাচনে লড়ার জন্য দু’টোর বেশি আসন পাবে না তাঁর দল বলে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছিল উপেন্দ্র খুশওয়াকে।
বিজেপির সাম্প্রতিক মন্দির-মসজিদ ইস্যু নিয়েও অখুশি ছিলেন উপেন্দ্র খুশওয়া। বিজেপির মন্দির ইস্যুকে কটাক্ষ করে উপেন্দ্র বলেছেন, কোনও রাজনৈতিক দল এসব নির্ধারণ করতে পারে না। তদের কাজও নয়। দেশে শিক্ষা, দারিদ্র্য এবং বেকারত্বের মতো সমস্যা যখন দিন দিন প্রকট হচ্ছে, তখন বিজেপি মন্দির-মসজিদ ইস্যু নিয়ে রাজনীতি করে মূল সমস্যাগুলিকে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে।
Comments are closed.