দরজায় কড়া নাড়ছে নির্বাচন। ৩ নভেম্বর প্রেসিডেন্ট নির্বাচন আমেরিকায়। আর এর মধ্যেই অস্বস্তি বেড়ে চলেছে মার্কিন মুলুকে। যা নিয়ে বেশ চাপের মুখে প্রশাসন। কী সেই চাপ? দেদার বেড়েছে বন্দুক কেনার চাহিদা। যে কারণে ভয়ের পরিবেশ তৈরি হয়েছে।
জর্জ ফ্লয়েডের হত্যার ঘটনার কথা সবার এখনও মনে আছে । আর্থার বেনসন নামে এক যুবক এই ঘটনার পর ঠিক করেন যে, তিনি ‘ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার্সে’ অংশগ্রহণ করবেন। ‘আমি অনিচ্ছা সত্ত্বেও বন্দুক কিনেছি। আর কোনও উপায় ছিল না। ওঁরা যদি আমার দিকে বন্দুক তোলে তাই নিজেকে বাঁচাতে কিনেছি।’ বলেছেন আর্থার। কারণ তাদের ৫০ জন সমর্থকের বিরুদ্ধে ৩০০ জন রাইফেলধারী বিরোধী মজুত আছে। কিন্তু এই বন্দুক কেনার হুড়োহুড়ি মোটেই আনন্দ দিচ্ছে না মার্কিন প্রশাসনকে।
পরিসংখ্যান অনুযায়ী, মার্চ মাসে বন্দুক কেনা হয়েছে ৩০ লক্ষ ৭০ হাজার, জুনে সেই সংখ্যা ৩০ লক্ষ ৯০ হাজার আর সেপ্টেম্বরে তা হয়েছে ২ কোটি ৮০ লক্ষ ৮০ হাজার। এক ধাক্কায় সংখ্যাটা অনেক বেড়ে গেছে। এফবিআই জানাচ্ছে এই সংখ্যা গত বছরের পরিসংখ্যানকেও হার মানাচ্ছে। তবে সবাই যে প্রয়োজনে কিনছে তা নয়। অনেকেই প্রথমবার বন্দুক কিনছে।
আর্থার বেনসন পেনসিলভানিয়ার বাসিন্দা। তিনি বলেন, ‘আমি বন্দুক সঙ্গে নিয়ে চলার মানুষ নই। তবে আমি এই অধিকারটি প্রকাশ করার ক্ষমতা রাখতে চাই। এই বছরে সামাজিক অস্থিরতা, আমাদের মূল্যবোধগুলি এবং যতটা আমরা নিজেদের রক্ষার জন্য করতে ইচ্ছুক রয়েছি এ বিষয়ে যত প্রশ্ন না করা যায় ততই ভাল।’ দিন দিন গৃহযুদ্ধ লাগার নাকি সম্ভাবনা বাড়ছে আমেরিকায়। কেন? জিজ্ঞেস করা হলে আর্থার এর উত্তর, অপর পক্ষ যখন আইন নিয়ে খেলা করে তখন আমাদেরও প্রস্তুত হয়ে থাকতে হয়।
ভোটের বাজারে কি খুব সহজেই বন্দুক মিলছে? তা কিন্তু নয়। বলা ভালো, গোলা বারুদ মিলছে না। দামও আগের তুলনায় অনেক চড়া। ৫০ রাউন্ড গুলির দাম আগে ছিল ১৫ ডলার, এখন তা বেড়ে হয়েছে ৪০ ডলার। অনেক সংস্থা বন্দুক বিক্রি বন্ধও করেছে। তবুও বন্দুকের চাহিদা কমেনি। সেখানেই সমস্যায় পড়েছে মার্কিন প্রশাসন।
Comments are closed.