জেএনইউ-র ছায়া এবার বিশ্বভারতীতে। বুধবার রাতে ক্যাম্পাসে ঢুকে এসএফআই সমর্থক পড়ুয়াদের মারার অভিযোগ উঠল এবিভিপি সমর্থকদের বিরুদ্ধে। এদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিদ্যাভবন সিনিয়র বয়েজ হস্টেলে ঢুকে দুই বাম সমর্থক পড়ুয়াকে বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। রাতে ওই দুই জখম ছাত্রকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পড়ুয়ারা জানান, সেখানে গিয়েও তাঁদের মারা হয়েছে। তার আগে রাস্তায় এবং হস্টেলে রড, উইকেট। কাঠের তক্তা দিয়ে তাঁদের মারা হয়। স্বপ্ননীল মুখোপাধ্যায় এবং শুভ নাথ নামে দুই ছাত্রকে পিয়ার্সন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ছাত্রদের ফেসবুক পোস্টে ওই মারধরের কথা জানানো হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, খোদ উপাচার্যের মদতে এই হামলা হয়। এবিভিপি মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করেছে। অচিন্ত্য বাগদি নামে এক পড়ুয়া বলেন, এসএফআই সমর্থকরা আগে হামলা করে। পুলিশ পরে অচিন্ত্য এবং আর এক ছাত্রকে গ্রেফতার করেছে।
গত ৮ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে এনআরসি নিয়ে এক আলোচনাসভার আয়োজন করা হয়েছিল। তাতে ভাষণ দেওয়ার জন্য আমন্ত্রণ করা হয়েছিল বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ স্বপন দাশগুপ্তকে। কিন্তু এসএফআই, ডিএসও-র মতো বামপন্থী পড়ুয়ারা তাতে বাধা দেয়। তুমুল বিক্ষোভ দেখানো হয়। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তারা আলোচনাসভার স্থান বদল করে। বাম পড়ুয়ারা জানতে পেরে সেখানে গিয়েও বিক্ষোভ দেখান। অনেক রাত পর্যন্ত ঘেরাও করে রাখা হয় উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী এবং অতিথি স্বপন দাশগুপ্তকে। বিক্ষোভের জেরে বানচাল হয়ে যায় আলোচনাসভা। বেশি রাতে পুলিশ ওই দু’জনকে উদ্ধার করে। মাঝ রাতে স্বপনবাবু কলকাতায় ফেরেন।
বাম ছাত্রদের অভিযোগ, তার পর থেকেই এবিভিপি সমর্থকরা তাঁদের হুমকি দিচ্ছেন। এবিভিপি তাও অস্বীকার করেছে। বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বৃহস্পতিবার বলেন, এই রাজ্যের কোনও বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ঢুকে ছাত্রদের মারার মতো সংগঠন এবিভিপি-র এখনও হয়নি।
Comments are closed.