প্যারাশুটে ঝুলতে ঝুলতে নেমেছিলেন শত্রু ডেরায়। প্রথমে উন্মত্ত স্থানীয় বাসিন্দাদের হাত থেকে বাঁচতে শূন্যে গুলি কিন্তু স্থানীয় বাসিন্দারা নাছোড়বান্দা দেখে এক দৌড়ে কাছের পুকুরে। সেখানে গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র নিজে গিলে ফেলার পর পুকুরের একবুক জলে দাঁড়িয়ে বাকিটা নষ্ট।
তিনি ভারতীয় বায়ুসেনার উইং কমান্ডার অভিনন্দন বর্তমান। বুধবার পাক ভূখণ্ডে তাঁর মিগ বিমান ক্র্যাশ করার পরের ঘটনাবলী উপরে সংক্ষেপে তুলে ধরা হয়েছে। ওয়াশিংটন পোস্টের প্রতিবেদন অনুযায়ী, এই ব্যক্তির জন্যই এবারের মতো এড়ানো গেল দুই পরমাণু শক্তিধর রাষ্ট্রের মধ্যে যুদ্ধ।
বৃহস্পতিবার বিকেলে পাকিস্তানের ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান অভিনন্দনকে মুক্তি দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন। তারপরই যুদ্ধ-উত্তেজনা এক ধাক্কায় অনেকটাই কমেছে বলে ওয়াশিংটন পোস্টের প্রতিবেদনে প্রকাশ।
ওয়াশিংটন পোস্টের প্রতিবেদনে লেখা হয়েছে, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের ‘শান্তির বার্তা’ দিয়ে অভিনন্দনকে মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্তে যুদ্ধ-বরফ গলেছে দুই দেশেই। যদিও ইমরানের মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে আনুষ্ঠানিকভাবে ভারত কোনও প্রতিক্রিয়া দেয়নি। কিন্তু তাও কেন ওয়াশিংটন পোস্টের মনে হচ্ছে উপমহাদেশে ফের দুই প্রধানের মধ্যে যুদ্ধ এড়ানো গেল? তারও ব্যাখ্যা রয়েছে প্রতিবেদনে।
অভিনন্দনের বিমান ক্র্যাশ করার পর থেকে বেশ কয়েকটি ভিডিও সামনে এসেছে। তার মধ্যে একাধিক ভিডিও নিয়ে তীব্র আপত্তি প্রকাশ করেছে ভারত। কিন্তু ওয়াশিংটন পোস্টের প্রতিবেদন অনুযায়ী, শেষ যে ভিডিওয়ে চা খেতে খেতে অভিনন্দন পাকিস্তানের সামরিক অফিসারের প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছিলেন, সেটাই ছিল মাস্টারস্ট্রোক। প্রতিবেদনে লেখা হয়েছে, এই ভিডিও দু’দেশের সাধারণ মানুষকে যুদ্ধ বিরোধী অবস্থান নিতে সাহায্য করেছে। অভিনন্দন যতটা সাবলীলভাবে সেদিন পাক সামরিক অফিসারদের প্রশ্নের উত্তর এবং চায়ের প্রশংসা করেছিলেন, তা প্রত্যক্ষভাবে দু’দেশের মধ্যে তৈরি হওয়া উত্তেজনা প্রশমনে অনেকাংশে সাহায্য করেছে বলে প্রতিবেদনে লিখেছে ওয়াশিংটন পোস্ট। তাদের মতে, অভিনন্দনকে ভারতে ফেরানোর জন্য পাকিস্তানের অভ্যন্তরেই ইমরান খানের উপর চাপ সৃষ্টি হয়েছিল। একইভাবে অভিনন্দনকে ফেরত চেয়ে সীমান্তের অপর পার, ভারতেও ক্রমেই জনমত তৈরি হয়। মূলত দু’দেশের এই সম্মিলিত জনমতের কারণেই অভিনন্দনের মুক্তির পাশাপাশি ভারত পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধ হয়ত এড়ানো গেছে বলে তাদের প্রতিবেদনে লিখেছে ওয়াশিংটন পোস্ট। অভিনন্দনকে আটক করার পর থেকে একের পর এক ভিডিও, যেখানে অভিনন্দনকে ঘিরে ধরে স্থানীয়দের মারধর এবং পাক সেনার তাঁকে উদ্ধার করার ভিডিও একদিকে যেমন যুদ্ধ উন্মাদনা বাড়িয়েছে ঠিক তেমনই অভিনন্দনের সেই ভিডিও, যেখানে তিনি অত্যন্ত স্বাভাবিকভাবে পাক সামরিক অফিসারের প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন, তা যুদ্ধ বিরোধিতার পক্ষে সওয়াল করেছে বলেই মত ওয়াশিংটন পোস্টের প্রতিবেদনে। শুক্রবারই তাদের আকাশসীমা খুলে দিয়েছে ইসলামাবাদ, অন্যদিকে ভারতেও নির্বাচন কমিশন জানিয়ে দিয়েছে, লোকসভা ভোট যথা সময়েই অনুষ্ঠিত হবে, পিছিয়ে দেওয়ার কোনও প্রশ্নই নেই। এগুলিকে যুদ্ধ বিরোধিতার পক্ষে আস্থাবর্ধক পদক্ষেপ হিসেবে দেখছে বাকি বিশ্ব।
তিনি ভারতীয় বায়ুসেনার উইং কমান্ডার অভিনন্দন বর্তমান। বুধবার পাক ভূখণ্ডে তাঁর মিগ বিমান ক্র্যাশ করার পরের ঘটনাবলী উপরে সংক্ষেপে তুলে ধরা হয়েছে। ওয়াশিংটন পোস্টের প্রতিবেদন অনুযায়ী, এই ব্যক্তির জন্যই এবারের মতো এড়ানো গেল দুই পরমাণু শক্তিধর রাষ্ট্রের মধ্যে যুদ্ধ।
বৃহস্পতিবার বিকেলে পাকিস্তানের ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান অভিনন্দনকে মুক্তি দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন। তারপরই যুদ্ধ-উত্তেজনা এক ধাক্কায় অনেকটাই কমেছে বলে ওয়াশিংটন পোস্টের প্রতিবেদনে প্রকাশ।
ওয়াশিংটন পোস্টের প্রতিবেদনে লেখা হয়েছে, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের ‘শান্তির বার্তা’ দিয়ে অভিনন্দনকে মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্তে যুদ্ধ-বরফ গলেছে দুই দেশেই। যদিও ইমরানের মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে আনুষ্ঠানিকভাবে ভারত কোনও প্রতিক্রিয়া দেয়নি। কিন্তু তাও কেন ওয়াশিংটন পোস্টের মনে হচ্ছে উপমহাদেশে ফের দুই প্রধানের মধ্যে যুদ্ধ এড়ানো গেল? তারও ব্যাখ্যা রয়েছে প্রতিবেদনে।
অভিনন্দনের বিমান ক্র্যাশ করার পর থেকে বেশ কয়েকটি ভিডিও সামনে এসেছে। তার মধ্যে একাধিক ভিডিও নিয়ে তীব্র আপত্তি প্রকাশ করেছে ভারত। কিন্তু ওয়াশিংটন পোস্টের প্রতিবেদন অনুযায়ী, শেষ যে ভিডিওয়ে চা খেতে খেতে অভিনন্দন পাকিস্তানের সামরিক অফিসারের প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছিলেন, সেটাই ছিল মাস্টারস্ট্রোক। প্রতিবেদনে লেখা হয়েছে, এই ভিডিও দু’দেশের সাধারণ মানুষকে যুদ্ধ বিরোধী অবস্থান নিতে সাহায্য করেছে। অভিনন্দন যতটা সাবলীলভাবে সেদিন পাক সামরিক অফিসারদের প্রশ্নের উত্তর এবং চায়ের প্রশংসা করেছিলেন, তা প্রত্যক্ষভাবে দু’দেশের মধ্যে তৈরি হওয়া উত্তেজনা প্রশমনে অনেকাংশে সাহায্য করেছে বলে প্রতিবেদনে লিখেছে ওয়াশিংটন পোস্ট। তাদের মতে, অভিনন্দনকে ভারতে ফেরানোর জন্য পাকিস্তানের অভ্যন্তরেই ইমরান খানের উপর চাপ সৃষ্টি হয়েছিল। একইভাবে অভিনন্দনকে ফেরত চেয়ে সীমান্তের অপর পার, ভারতেও ক্রমেই জনমত তৈরি হয়। মূলত দু’দেশের এই সম্মিলিত জনমতের কারণেই অভিনন্দনের মুক্তির পাশাপাশি ভারত পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধ হয়ত এড়ানো গেছে বলে তাদের প্রতিবেদনে লিখেছে ওয়াশিংটন পোস্ট। অভিনন্দনকে আটক করার পর থেকে একের পর এক ভিডিও, যেখানে অভিনন্দনকে ঘিরে ধরে স্থানীয়দের মারধর এবং পাক সেনার তাঁকে উদ্ধার করার ভিডিও একদিকে যেমন যুদ্ধ উন্মাদনা বাড়িয়েছে ঠিক তেমনই অভিনন্দনের সেই ভিডিও, যেখানে তিনি অত্যন্ত স্বাভাবিকভাবে পাক সামরিক অফিসারের প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন, তা যুদ্ধ বিরোধিতার পক্ষে সওয়াল করেছে বলেই মত ওয়াশিংটন পোস্টের প্রতিবেদনে। শুক্রবারই তাদের আকাশসীমা খুলে দিয়েছে ইসলামাবাদ, অন্যদিকে ভারতেও নির্বাচন কমিশন জানিয়ে দিয়েছে, লোকসভা ভোট যথা সময়েই অনুষ্ঠিত হবে, পিছিয়ে দেওয়ার কোনও প্রশ্নই নেই। এগুলিকে যুদ্ধ বিরোধিতার পক্ষে আস্থাবর্ধক পদক্ষেপ হিসেবে দেখছে বাকি বিশ্ব।
Comments are closed.