রাতভর বৃষ্টির জেরে এখনও জলমগ্ন শহর কলকাতা। শহরের নীচু এলাকা বলে পরিচিত আমহার্স্ট স্ট্রিট, বিবি গাঙ্গুলি স্ট্রিট, ঠনঠনিয়ার পাশাপাশি দক্ষিণের কালীঘাট, বেহালা, টালিগঞ্জ, কসবা, আনন্দপুর, মুকুন্দপুর, যোধপুর পার্ক, লেক গার্ডেন্সের বিস্তীর্ণ এলাকা এখনও জলের নীচে। বহু বাড়িতে জল ঢুকে গেছে। এমন কী বাঘাযতীন, যাদবপুরেও বিভিন্ন জায়গায় রাস্তার উপর দিয়ে বইছে জল। এলাকা ঘুরছেন পুরো প্রশাসকমণ্ডলীর চেয়ারম্যান ফিরহাদ হাকিম।
রাস্তার উপর দিয়ে জল বওয়ায় জায়গায় জায়গায় খারাপ হয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে গাড়ি। ফলে ট্রাফিক সামাল দিতে কালঘাম ছুটছে পুলিশের।
জল কখন নামবে সেটাই এখন সবচেয়ে বড় প্রশ্ন। এদিকে আলিপুর আবহাওয়া দফতর বজ্রবিদ্যুৎ সহ ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দিয়েছে। এদিকে শহরের জল নামার জন্য দরকার হয় গোঙায় ভাটা পরিস্থিতি। গঙ্গাতে জোয়ার চললে নদীর জলতল শহরের চেয়ে উঁচু হয়ে যায়। ফলে শহরের জল গঙ্গায় বেরোতে পারে না। উল্টে নদীর জল ঢুকে প্লাবিত হয় কলকাতা। তাই লকগেট বন্ধ রাখা হয়।
এদিকে টানা বৃষ্টির জেরে হাওড়ায় ধস নেমেছে। বৃহস্পতিবার উলুবেড়িয়ার কালিনগরে ধস নেমে ভেঙে পড়ে রাস্তার পাশের ৫ টি দোকান। বিপজ্জনক অবস্থায় ঝুলছে কয়েকটি বাড়ি। আবার ভারী বৃষ্টি হলে পুরো এলাকায় ধস নামতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। অন্যদিকে আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস, আরও ২৪ ঘন্টা বৃষ্টিপাত চলবে। হাওড়া, কলকাতা সহ দুই ২৪ পরগনা ও দুই মেদিনীপুরে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।
আগামী ২ থেকে ৩ ঘণ্টার মধ্যে হাওড়া হুগলি, কলকাতা, দুই ২৪ পরগনা ও বাঁকুড়া সহ বেশ কিছু জেলায় বজ্রবিদ্যুত্ সহ বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে।
Comments are closed.