ঘূর্ণিঝড় যশ মোকাবিলায় কোনও ফাঁক রাখতে চাইছে না প্রশাসন।
ইতিমধ্যেই নবান্নর পাশে উপান্নতে খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম। যেখানে ২৬ এবং ২৭ মে স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী উপস্থিত থেকে রাজ্যের সামগ্রিক পরিস্থিতির উপর নজর রাখবেন।
ছুটি বাতিল করা হয়েছে বিদ্যুৎ, কৃষি এবং PWD ইত্যাদি দফতরের।
বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া ঘূর্ণিঝড় যশ মোকাবিলার জন্য শনিবার কেন্দ্রীয় ও রাজ্যের বিপর্যয় মোকাবিলা এজেন্সিগুলির প্রস্তুতি পর্যালোচনা নিয়ে মন্ত্রী পরিষদের সচিব রাজীব গৌবার সঙ্গে বৈঠক করেন।
অন্যদিকে, শুক্রবার থেকেই উপকূলবর্তী এলাকায় কড়া নজরদারি ও মাইকিং শুরু করে দিয়েছে ভারতীয় উপকূলরক্ষী বাহিনী। পাশাপাশি, মৎস্যজীবীদের উদ্দেশে সতর্কবার্তা প্রচার করা হচ্ছে। সমুদ্রে থাকা মৎস্যজীবীদের ২৩ মের মধ্যে ফিরে আসার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ ঘূর্ণিঝড় যশের বাংলায় আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি জানাল আবহাওয়া দফতর
এয়ার লিফট করে পশ্চিম উপকূল থেকে ওড়িশা ও পশ্চিমবঙ্গে আনা হচ্ছে এনডিআরএফের কর্মীদের। ইতিমধ্যেই কাজে শুরু করে দিয়েছে এনডিআরএফ ও উপকূলরক্ষী বাহিনীরা। এনডিআরএফ ৬৫ টি দল মোতায়েন করেছে এবং আরও ২০ টি দল স্ট্যান্ডবাইতে থাকবে। হাসনাবাদ, সন্দেশখালি, গোসাবা, কাকদ্বীপ, সাগর দিঘা, রামনগর, কাঁথি, ডায়মন্ড হারবার, কলকাতা ও হাওড়ায় এনডিআরএফ বাহিনী মোতায়েন হয়েছে। উপকূলবর্তী ২৫০ টি স্কুল-কলেজে ইতিমধ্যেই তৈরি করা হয়েছে অস্থায়ী শরণার্থী শিবির।
জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের ডিরেক্টর জেনারেল টুইট করে জানিয়েছেন, পশ্চিম উপকূল অঞ্চল থেকে এয়ার লিফট করে পশ্চিমবঙ্গ-ওড়িশাতে নিয়ে আসা হচ্ছে টিম। ঝড়ের তীব্রতা কতটা হবে মৌসম ভবণ থেকে সেই তথ্য পেলে ঠিক করা হবে কত টিম মোতায়েন করা হবে পশ্চিমবঙ্গে।
ঘূর্ণিঝড় যশ মোকাবিলায় প্রস্তুত কলকাতা পুলিশ। তৈরি করা হয়েছে ২০ টি বিপর্যয় মোকাবিলা দল। এছাড়াও ভারতীয় উপকূলরক্ষী বাহিনীর তরফে গঠন করা হয়েছে কুইক রেসপন্স টিম। প্রস্তুত করা হয়েছে ১৩ টি জাহাজ, বোট এবং স্পিড বোট।
আমফানের ক্ষয়ক্ষতির কথা মাথায় রেখে এবার যশ মোকাবিলায় আগেভাগে প্রস্তুত রাজ্য প্রশাসন।
Comments are closed.