দারিদ্র দূরীকরণে বাংলার কেন্দ্রীয় স্বীকৃতি, রাজ্যে দারিদ্র কমেছে ৬ শতাংশ যেখানে দেশে গরিবি বেড়েছে ৪ শতাংশ

মমতা ব্যানার্জির সরকারের আমলে রাজ্যে দারিদ্র কমেছে ছয় শতাংশ। কেন্দ্রীয় পরিসংখ্যান ও কর্মসূচি রূপায়ণ মন্ত্রকের ন্যাশনাল স্ট্যাটিস্টিক্যাল অফিসের (এনএসও) সাম্প্রতিক রিপোর্টে এমনই তথ্য সামনে এসেছে।
সারা দেশে যখন দারিদ্রের হার বেড়েছে তখন পশ্চিমবঙ্গে ২০১১-১২ আর্থিক বছর থেকে ২০১৭-১৮ আর্থিক বছর পর্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণভাবে দারিদ্রের হার কমেছে। এই তালিকায় পশ্চিমবঙ্গের পর রয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর রাজ্য গুজরাত ও তামিলনাড়ু। সংশ্লিষ্ট সময়ের মধ্যে ওই দুই রাজ্যে পাঁচ শতাংশ হারে দারিদ্র কমেছে বলে কেন্দ্রীয় রিপোর্টে প্রকাশ।
যোজনা কমিশনের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০১১-১২ আর্থিক বছরে এ রাজ্যে দারিদ্রসীমার নীচে বসবাস করতেন ১৯.৯৮ শতাংশ মানুষ। গ্রামে দারিদ্রের হার ছিল ২২.৫২ শতাংশ, সংখ্যার বিচারে প্রায় ১ কোটি ৪১ লক্ষ গ্রামীণ মানুষ ছিলেন দারিদ্রসীমার নীচে। শহরে এই হার ছিল ১৪.৬৬ শতাংশ। অর্থাৎ, শহরে প্রায় ৪৩ লক্ষ ৮৩ হাজার মানুষ দারিদ্রসীমার নীচে বসবাস করতেন।
অন্যদিকে, গ্রাম ও শহরের মানুষের চাহিদা এবং খরচ বিচার করে সম্প্রতি ন্যাশনাল স্যাম্পেল সার্ভে অর্গানাইজেশন একটি রিপোর্ট প্রকাশ করে। যেখানে দেখা যাচ্ছে, গ্রামীণ ভারতে দারিদ্রের হার ২৬ শতাংশ থেকে বেড়ে হয়েছে ৩০ শতাংশ। অন্যদিকে, ২০১১-১২ আর্থিক বছর থেকে ২০১৭-১৮ আর্থিক বছরে মহারাষ্ট্রের মতো বড় রাজ্যে দারিদ্রের হার পাঁচ শতাংশ বেশি হয়েছে বলে জানাচ্ছে এনএসও-র রিপোর্ট। সে জায়গায় বাংলায় গরিবির হার কমেছে ছয় শতাংশ। যা বিশেষ সাফল্য বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির বিভিন্ন জনমুখী কর্মসূচি ও উদ্যোগের ফলে এই সাফল্য মিলেছে বলে মনে করা হচ্ছে।
বুধবার সোশ্যাল মিডিয়ায় এই রিপোর্টের তথ্য তুলে ধরে বাংলার মানুষকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। ফেসবুক পোস্টে মমতা লিখেছেন, রাজ্যের এই দারিদ্র কমানো সম্ভবপর হয়েছে প্রান্তিক মানুষদের স্বার্থে বিভিন্ন জনমুখী উদ্যোগ ও পরিকল্পনার ফলে।

Comments are closed.