ভবানীপুরে মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে বিজেপি প্রার্থী স্বপন দাশগুপ্ত বা অনির্বাণ গাঙ্গুলি! সম্ভাব্য ৭ নাম নিয়ে আলোচনা
ভবানীপুরে মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে বিজেপির প্রার্থী কে? এই লাখ টাকার প্রশ্নের জবাব খুঁজতেই আপাতত জোর আলোচনা গেরুয়া শিবিরের অন্দরে। সূত্রের খবর, রাজ্যসভার সাংসদ স্বপন দাশগুপ্ত এবং ডঃ শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জি রিসার্চ ফাউন্ডেশনের অধিকর্তা ডঃ অনির্বাণ গাঙ্গুলির মধ্যে কেউ একজন বিজেপি প্রার্থী হতে পারেন ভবানীপুর কেন্দ্র থেকে।
ইতিমধ্যেই মমতা ব্যানার্জি জানিয়ে দিয়েছেন, পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রাম থেকে তিনি প্রার্থী হবেন। পাশাপাশি, কলকাতার ভবানীপুর কেন্দ্র থেকেও তিনি লড়বেন বলেই তৃণমূলের অন্দরের খবর। মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে কে প্রার্থী হতে পারেন, সে ব্যাপারে ইতিমধ্যেই ভাবনাচিন্তা শুরু করে দিয়েছে গেরুয়া শিবির। নন্দীগ্রামের প্রাক্তন বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী এই মুহূর্তে বিজেপিতে। সেই আসনের পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রীর নিজের আসন ভবানীপুরকে বাড়তি গুরুত্ব দিচ্ছেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব।
সূত্রের খবর, মুখ্যমন্ত্রীর কেন্দ্র ভবানীপুরে বিজেপি প্রার্থী হিসেবে একাধিক নাম ইতিমধ্যেই সামনে এসেছে। তার মধ্যে যেমন রয়েছেন ২০১৪ সালে লোকসভায় দক্ষিণ কলকাতার বিজেপি প্রার্থী তথাগত রায়, তেমনই আলোচনায় এসেছে রূপা গাঙ্গুলির নামও। সূত্রের খবর, ভবানীপুরের সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে সাতজনের নাম নিয়ে ইতিমধ্যেই আলোচনা করেছেন বিজেপি নেতারা। সাংসদ লকেট চ্যাটার্জির নামও তুলেছেন কেউ কেউ।
তবে সর্বশেষ খবর অনুযায়ী, ভবানীপুর কেন্দ্রের সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে এক এবং দুই নম্বরে রয়েছেন স্বপন দাশগুপ্ত এবং ডঃ অনির্বাণ গাঙ্গুলি। তৃণমূলের বহিরাগত ইস্যুর মোকাবিলায় বাঙালি গ্রহণযোগ্য মুখ তুলে ধরতে চাইছেন বিজেপি নেতারা। এবং এই মাপকাঠিতে স্বপন দাশগুপ্ত অথবা অনির্বাণ গাঙ্গুলির মধ্যে কোনও একজনকে প্রার্থী করা হলে তা সবচাইতে গ্রহণযোগ্য হতে পারে বলে মনে করছেন বিজেপি নেতৃত্ব।
এর আগে ২০১৬ সালে মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে বাম-কংগ্রেস জোটের প্রার্থী ছিলেন দীপা দাশমুন্সি। সেই নির্বাচনে বাম-কংগ্রেস জোট প্রচারে যথেষ্ট সাড়া জাগালেও ভবানীপুর কেন্দ্রে বিশেষ প্রভাব ফেলতে পারেননি হেভিওয়েট কংগ্রেস প্রার্থী দীপা দাশমুন্সি।
২০১৯ লোকসভা ভোটের ফলাফলকে মাথায় রেখে বিজেপি নেতৃত্ব মনে করছেন, ভবানীপুর কেন্দ্রে হেভিওয়েট প্রার্থী দিলে রাজনৈতিক ডিভিডেন্ড মিলতে পারে। সেই কারণেই এই কেন্দ্র নিয়ে বাড়তি গুরুত্ব আরোপ করছেন বিজেপি নেতারা। তবে তৃণমূল শিবিরের বক্তব্য, লোকসভা ভোটের সঙ্গে বিধানসভা নির্বাচনের কোনও সম্পর্কই নেই। তা এর আগে ২০১৪ লোকসভার পর ২০১৬ সালের বিধানসভাতেও প্রমাণিত হয়েছে ভবানীপুর কেন্দ্রে।
Comments are closed.