অমিত শাহ। গুরুত্ব এবং প্রভাবের বিচারে এই মুহূর্তে দেশের দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি কি ক্রিকেট প্রশাসনকে বিদায় জানাবেন? তবে নিয়মের গেঁড়ো এবং কেন্দ্রীয় সরকারের কাজের চাপে তিনি ক্রিকেট প্রশাসনকে বিদায় জানালেও, পরবর্তী বিসিসিআই সভাপতি কে হবেন তা নিয়ে শেষ কথা বলবেন সেই অমিত শাহই। সূত্রের খবর, আগামী মাসে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের নির্বাচনে সর্বোচ্চ পদে মূল লড়াই হতে পারে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় এবং সাংবাদিক ও নিউজ অ্যাঙ্কর রজত শর্মার মধ্যে। এমনই খবর প্রকাশিত হয়েছে নিউজ পোর্টাল the print এ।
আগামী ২২ শে অক্টোবর বিসিসিআইয়ের বার্ষিক সাধারণ সভায় সভাপতি পদের জন্য নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে বলে the print এর প্রতিবেদনে প্রকাশ। তিন বছর আগে শেষবার বিসিসিআইয়ের সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছিল। তারপরই সুপ্রিম কোর্টের হস্তক্ষেপে প্রশাসক হিসেবে বিনোদ রাই দায়িত্ব নেন। সভাপতি পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় অনুরাগ ঠাকুরকে। এবার ফের নির্বাচন হবে বোর্ডে। সেই নির্বাচনে ধারে ও ভারে সবার চেয়ে এগিয়ে দাদা। কিন্তু তাঁর নির্বাচনের ক্ষেত্রে কয়েকটি জটিলতার কথা তুলে ধরেছে প্রতিবেদনটি। আর এই সুযোগেই কি বেরিয়ে যাবেন সাংবাদিক রজত শর্মা? সবচেয়ে বড় প্রশ্ন এখন এটাই।
এবার বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট পদের জন্য সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় নির্বাচনে জিতলে, তাঁর মেয়াদ হবে মাত্র ৯ মাস। এমনই বলা হয়েছে প্রতিবেদনে। কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে, সৌরভ ২০১৪ সাল থেকে সিএবি প্রধানের পদে রয়েছেন। নিয়ম অনুযায়ী ৩ বছরের কুলিং অফ পিরিয়ড না কাটালে এক লপ্তে ৬ বছরের বেশি পদে থাকা যায় না। ফলে অক্টোবরের বোর্ডের নির্বাচনে সৌরভ নির্বাচিত হলেও, তিনি ৯ মাসের বেশি প্রেসিডেন্ট পদে থাকতে পারবেন না।
the print র প্রতিবেদনে সিনিয়র সাংবাদিক লোকেন্দ্রপ্রতাপ শাহি লিখেছেন, সৌরভের মূল প্রতিদ্বন্দিতা সাংবাদিক এবং টিভি অ্যাঙ্কর রজত শর্মার সঙ্গে। ২০১৮ সালে রজত শর্মাকে দিল্লি ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের (ডিডিসিএ) সভাপতি করেছিলেন অরুণ জেটলি। বিজেপি ঘনিষ্ঠ এই অ্যাঙ্করের সৌরভের মতো পরিচিতি এবং সর্বজনগ্রাহ্যতা না থাকলেও, রজত শর্মা বিসিসিআই প্রধান পদ জিততে কৌশলে পা ফেলার নীতি নিয়েছেন। the print র প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, সম্প্রতি ভারতীয় দলকে সংবর্ধনা দেয় ডিডিসিএ। দিল্লি ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি রজত শর্মা সেই অনুষ্ঠানে হাজির করেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে। তাঁর এই কৌশলী উদ্যোগ আদৌ তাঁকে ডিভিডেন্ড দেয় কিনা সেটাই এখন দেখার। সেই সঙ্গে রজত শর্মা বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট হলে তিনি পরপর দুটি মেয়াদ সেই পদে থাকতে পারবেন। যদিও তিনি দিল্লি ক্রিকেট বোর্ডের প্রেসিডেন্ট হিসেবে যতদিন কাটিয়েছেন, তা বাদ যাবে।
the print র প্রতিবেদন বলছে, সৌরভ, রজত শর্মা ছাড়াও লড়াইয়ে রয়েছেন রাজীব শুক্ল সহ আরও কেউ কেউ। এই প্রেক্ষিতে অমিত শাহের সমর্থন কোনদিকে যাবে, সেদিকেই তাকিয়ে দেশের ক্রিকেট মহল।
এদিকে কুলিং অফ নিয়মের গেঁড়োয় গুজরাত ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের (জিসিএ) দায়িত্বও ছাড়তে হচ্ছে অমিত শাহকে। গত এক দশক ধরে জিসিএর প্রেসিডেন্ট কিংবা ভাইস প্রেসিডেন্ট পদে রয়েছেন অমিত শাহ। তবে আনুষ্ঠানিকভাবে পদ থেকে সরে দাঁড়ালেও, দেশের ক্রিকেট বোর্ডের শীর্ষে কে বসবেন, তা ঠিক হবে অমিত শাহের অঙ্গুলি হেলনেই, দাবি the print র প্রতিবেদনের।
Comments are closed.