মিতব্যয়ী বাংলা! ৩.৫ লক্ষ টিকার ডোজ বাঁচিয়ে বিরল দৃষ্টান্ত রাজ্যের

ভ্যাকসিন বন্টন ও সঠিক পরিচালনার কারণে টিকা অপচয়ের পরিমাণ তুলনামূলক কম পশ্চিমবঙ্গে

ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হয়েছে করোনা প্রথম দফার টিকাকরণ। এর পর থেকেই বিভিন্ন জায়গা থেকে খবর আসছিল টিকা অপচয়ের। কিন্তু প্রথম থেকেই বাংলার পদক্ষেপ ছিল ব্যতিক্রম।

ভ্যাকসিনের প্রতিটি ফোঁটা ব্যবহার করলে কেবল টিকা অপচয় কমে তাই নয়, শিশিতে থাকা ডোজ নতুনভাবে অন্যের জন্য ব্যবহার করা সম্ভব হয়। ভ্যাকসিন বন্টন ও সঠিক পরিচালনার কারণে টিকা অপচয়ের পরিমাণ তুলনামূলক কম পশ্চিমবঙ্গে।

গত রবিবার পর্যন্ত কেন্দ্র থেকে সরবরাহ করা ১ কোটি ২২ লাখ ৭৪ হাজার ২০০ ডোজের মধ্যে ১১৯.৭ লাখ ডোজ পশ্চিমবঙ্গ দিয়েছে। হিসেব মত রাজ্যের কাছে এখন থাকার কথা প্রায় ৩ লক্ষ ডোজ। কিন্তু সরকারি হিসেব বলছে বাংলায় এখনও ৬.৫ লক্ষ ডোজ অবশিষ্ট আছে। এই অতিরিক্ত ৩.৫ লক্ষ টিকার ডোজ বাচিয়েছেন রাজ্যের চিকিৎসা মহল। তাৎপর্যপূর্ণ ব্যাপার হল, টিকার দ্বিতীয় ডোজ দেওয়ার ক্ষেত্রে দেশে দ্বিতীয় পশ্চিমবঙ্গ।

স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, রাজ্যে কোভ্যাকসিন ও কোভিশিল্ডের অপচয় তুলনামূলক হ্রাস পেয়েছে। আরও অপচয় কমানোই উদ্দেশ্য।

দেশে দ্বিতীয় ঢেউ চলাকালীন ভ্যাকসিনের অপচয় বড় উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশে টিকা সঙ্কটের অন্যতম কারণ টিকা অপচয়। সমস্ত রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মধ্যে ভ্যাকসিন অপচয়ের দিক থেকে প্রথম স্থানে লক্ষদ্বীপ। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের শেষ তথ্য অনুযায়ী, ভ্যাকসিন অপচয়ে দ্বিতীয় স্থানে হরিয়ানা এরপর অসম, রাজস্থান, পাঞ্জাব, বিহার, মেঘালয়, তামিলনাড়ু, মনিপুর।

Comments are closed.