গুরুংয়ের বিরুদ্ধে ৭০ টিরও বেশি মামলা প্রত্যাহার রাজ্যের, কটাক্ষ সিপিএমের

বিমল গুরুঙ্গের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত। তাঁর বিরুদ্ধে খুন ও ইউএপিএ ছাড়া ৭০ টিরও বেশি মামলা প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নবান্ন, বলে খবর। এ বিষয়ে ইতিমধ্যেই রাজ্য সরকার জেলা পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছে। দার্জিলিং, কার্শিয়ং, কালিম্পঙে থাকা একাধিক মামলা প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে ইউএপিএ, খুন, সরকারি সম্পত্তি নষ্ট, হিংসা, ভাংচুরের অভিযোগে মামলা হয়েছিল। যদিও এই বিষয়ে কিছু জানেন না বলে জানিয়েছেন গুরুং ঘনিষ্ঠ মোর্চা নেতা রোশন গিরি।

২০১৭ সালে দার্জিলিং-এ পৃথক গোর্খাল্যান্ডের দাবিতে আন্দোলন ঘিরে ফের উত্তপ্ত হয় পাহাড়। বিমল গুরুং-এর নেতৃত্বে চলে আন্দোলন। তারপরই অশান্তির ঘটনায় রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলা রুজু হয় গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা সুপ্রিমোর বিরুদ্ধে। পাশাপাশি ইউএপিএ, খুন, সরকারি সম্পত্তি নষ্টের অভিযোগে একাধিক ধারায় মামলা দায়ের করা হয়। গোলমালের পরই গা ঢাকা দেন বিমল গুরুং, রোশন গিরিরা।

[আরও পড়ুন- রামচন্দ্র ডোম, ফুয়াদ, অমিয় পাত্র, কান্তি, আভাস প্রার্থী! দ্বিধাগ্রস্থ সিপিএম, লড়লে কোন আসনে?]

ওই বছরই সিংমারিতে সংঘর্ষে তিনজনের মৃত্যু হয়। সেই ঘটনাতেও বিমলের স্ত্রীর বিরুদ্ধে খুনের মামলা রুজু করে পুলিশ। বিভিন্ন মামলায় গ্রেফতার হওয়ার ভয়ে পাহাড়ে ফিরতে পারেননি বিমল। গুরুংকে ধরতে গিয়ে খুন হন সাব-ইন্সপেক্টর অমিতাভ মালিক। সেই ঘটনাতেও মামলা দায়ের হয় বিমল গুরুং-এর বিরুদ্ধে। কয়েকমাস আগে প্রকাশ্যে আসেন বিমল। আসন্ন বিধানসভা ভোটে তৃণমূলকে সমর্থনের কথা ঘোষণা করেন তিনি।

গুরুংয়ের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহার করায় তৃণমূলকে কটাক্ষ করেছে বিরোধিরা। বিজেপি নেতা রাজু ব্যানার্জি কটাক্ষ করে বলেছেন, পাহাড়-সমতলের মধ্যে বিভেদ তৈরি করতে চাইছে তৃণমূল। শিলিগুড়ির সিপিএম বিধায়ক অশোক ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, এটা হাস্যকর, ইউএপিএ-খুনের মামলা প্রত্যহার করা সম্ভব নয়, তৃণমূলের সঙ্গে থাকলে এক আইন, বিপক্ষে থাকলে অন্য আইন! অন্যদিকে পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেব বিষয়টি নিয়ে মন্তব্য করতে চাননি। তাঁর বক্তব্য এই সংক্রান্ত যাবতীয় বিষয় দেখছে আইন দফতর। তাঁর কিছুই করার নেই।

 

Comments are closed.