সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতার বাড়িতে ঢুকতে দেওয়া হল না কুণাল ঘোষকে। তিনি বিনা অ্যাপয়েন্টমেন্টেই পৌঁছে গিয়েছিলেন নয়াদিল্লির আকবর রোডে তুষার মেহতার সরকারি বাসভবনে। এরপরেই কুণাল প্ৰশ্ন তুললেন, সেদিন কীভাবে ঢুকলেন শুভেন্দু?
মঙ্গলবার সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতার বাড়িতে যান কুণাল ঘোষ। বাড়ির গেটেই তাঁকে আটকে দেয় পুলিশ। জানিয়ে দেওয়া হয়, বিনা অ্যাপয়েন্টমেন্টে বাড়িতে ঢোকা যাবে না।
বাড়ির গেটে নিরাপত্তারক্ষীদের রাজ্যসভার কার্ড দেখান কুণাল ঘোষ। প্রাক্তন সাংসদ তাও জানানো হয়। কিন্তু কোনও ভাবেই তিনি ঢুকতে পারেননি বাড়ির ভিতরে।
তবে বাড়িতে ঢুকতে না পারলেও তুষার মেহতার কাছে নারদ মামলা সংক্রান্ত একটি চিঠি দিয়েছেন কুণাল ঘোষ। বন্ধ দরজার সামনে দাঁড়িয়েই তিনি বলেন, দেশের সলিসিটর জেনারেল মিথ্যা কথা বলেছেন। বলেছেন শুভেন্দু অধিকারী এসেছেন, চা খেয়েছেন, চলে গেছেন। কিন্তু নারদা মামলায় অভিযুক্ত শুভেন্দু অধিকারী কীভাবে বাড়ির ভিতরে প্রবেশ করলেন? তবে কি তাঁর আগেভাগে অ্যাপয়েন্টমেন্টে করা ছিল?
কুণাল ঘোষ বলেন, আমি বিনা অ্যাপয়েন্টমেন্টে তুষার মেহেতার বাড়িতে ঢোকার চেষ্টা করি। কোনও সরকারি বাসভবনে বিনা অনুমতিতে ঢোকা যায় না, সেটা তিনি জানেন। কিন্তু সলিসিটর জেনারেল তথা নারদ মামলায় সিবিআইয়ের আইনজীবীর মিথ্যা কথা প্রমাণ করতেই তিনি এই পথ নিয়েছেন।
তুষার মেহতার বাড়িতে শুভেন্দু অধিকারী যাওয়ার পরেই সরব হয়েছে তৃণমূল। প্রধানমন্ত্রীর কাছে চিঠি লিখে মেহতার অপসারন দাবি করার পাশাপাশি রাষ্ট্রপতির কাছেও একই দাবিতে স্মারকলিপি দিয়েছেন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র এবং সুখেন্দুশেখর রায়।
Comments are closed.