সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন নিয়ে সুপ্রিম কোর্ট অনিচ্ছুক যোদ্ধার মতো ভূমিকা পালন করল বলে মন্তব্য স্বরাজ ইন্ডিয়া দলের প্রধান যোগেন্দ্র যাদবের।
কেন্দ্রের নয়া নাগরিকত্ব আইনে বুধবার স্থগিতাদেশ দেয়নি সুপ্রিম কোর্ট। প্রধান বিচারপতি এস এ বোবদের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, একমাত্র সাংবিধানিক বেঞ্চই এই মামলায় স্থগিতাদেশ দিতে পারে। কেন্দ্রের কাছে চার সপ্তাহের মধ্যে জবাব চেয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালতের রায়ে হতাশ সিএএ বিরোধী মামলাকারীদের মধ্যে অন্যতম স্বরাজ ইন্ডিয়া দল। নয়া আইন প্রয়োগে স্থগিতাদেশ না দিয়ে সুপ্রিম কোর্ট অনিচ্ছুক যোদ্ধার মতো ভূমিকা পালন করল বলে মন্তব্য করেন স্বরাজ ইন্ডিয়ার প্রধান যোগেন্দ্র যাদব। সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পরে যাদব জানান, দেশের সংবিধান রক্ষার্থে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে তাঁদের আন্দোলন জারি থাকবে। এ নিয়ে শীর্ষ আদালত ধীর পদক্ষেপ করছে বলেও অভিযোগ করে যোগেন্দ্র যাদবের দল। যাদব তাঁর নিজস্ব ট্যুইটার হ্যান্ডেল থেকে লেখেন, শীর্ষ আদালতের এই নির্দেশ বা কেন্দ্রকে প্রতিক্রিয়া দেওয়ার জন্য সময় দেওয়া কোনওটাতেই ভুল নেই। সাংবিধানিক বেঞ্চ তৈরি করা বা চার সপ্তাহ পরে স্থগিতাদেশ দেওয়াতেও কোনও ভুল নেই। কিন্তু সংবিধানকে যখন আক্রান্ত, তখন কি দেশের সর্বোচ্চ আদালতের কাছে এটাই আমরা আশা করেছিলাম? প্রশ্ন তোলেন যাদব।
নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে মামলাকারীদের মধ্যে অন্যতম স্বরাজ ইন্ডিয়া দল। এই দলের জাতীয় সভাপতি অভীক সাহা উপস্থিত ছিলেন সুপ্রিম কোর্টে। তাঁদের অভিযোগ, সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন, এনআরসি ও এনপিআরের অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ না দেওয়ায় কেন্দ্র জোরপূর্বক এই আইন প্রয়োগের সুবিধা পেয়ে গেল। অসম ও ত্রিপুরা বাদে সিএএ সংক্রান্ত যাবতীয় মামলার জবাব চেয়ে কেন্দ্রকে চার সপ্তাহ সময় দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। নয়া নাগরিকত্ব আইন নিয়ে অসম ও ত্রিপুরার মামলা আলাদাভাবে শুনবে শীর্ষ আদালত। এর জন্য কেন্দ্রকে মতামত দেওয়ার জন্য দু’ সপ্তাহ সময়সীমা দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট মামলাগুলিকে সাংবিধানিক বেঞ্চে পাঠায়নি সুপ্রিম কোর্ট। যদিও সুপ্রিম কোর্ট স্থগিতাদেশ না দিয়ে যে চার সপ্তাহ সময় দিয়েছে কেন্দ্রকে, তাতে দৃশ্যতই হতাশ স্বরাজ ইন্ডিয়া দল।
Comments are closed.