রাত পোহালেই হাইভোল্টেজ উপনির্বাচন। গোটা রাজ্য বাসীর নজর কার্যত ভবানীপুরে। ভবানীপুরের ভোট নিয়ে নির্বাচন কমিশনের কর্তারা জরুরি একটি বৈঠক করেন। কোনও অনভিপ্রেত ঘটনা এড়াতে সব রকম প্রস্তুতি সেরে রাখছে কমিশন। জানা গিয়েছে, ভবানীপুরের সব বুথেই বুধবার থেকে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। ভোট গ্রহণ শেষ পর্যন্ত ১৪৪ জারি থাকবে।
কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, প্রতিটি বুথের ২০০ মিটারের মধ্যে পাঁচ জনের অধিক জমায়েত করা যাবে না। এছাড়াও শুধু মাত্র ভবানীপুরের জন্য মোতায়েন করা হচ্ছে ১৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। বাহিনীর সঙ্গে কলকাতা পুলিশ ফোর্সও ভোটের দিন নিরাপত্তায় থাকবে। ১৪৪ ধারা জারি নিয়ে কমিশন কর্তাদের বক্তব্য, প্রথা মেনেই এই প্রস্তুতি। বিধানসভা নির্বাচনেও একই ব্যবস্থা করা হয়েছিল।
এদিকে প্রচারের শেষ দিনের গণ্ডগোল নিয়ে কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ভুপেন্দ্র যাদব, মুখতার আব্বাস নাকভি সহ কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের একটি প্রতিনিধি দল কমিশনের কর্তাদের সঙ্গে দেখা করে বেশ কিছু দাবি রাখেন। তাঁদের প্রধান দাবিই ছিল শান্তিপূর্ণ ভোট পর্বের জন্য ভবানীপুরের প্রতিটি বুথে ১৪৪ ধারা জারি করতে হবে। এছাড়াও বুথে কোনও রাজনৈতিক দলেরই প্রতিনিধিকে বসতে না দেওয়াটা আর্জি জানায় কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। মাইক্রো অবজার্বার নিয়োগ করা হোক বলে দাবি করেন তাঁরা।
এদিকে বিজেপির এই দাবি দাওয়াকে কটাক্ষ করেছে তৃণমূল। ঘাসফুল শিবিরের খোঁচা, বিজেপির কাছে বুথে বসার মতো এজেন্ট নেই, তাই কমিশনে গিয়েছে অজুহাত তৈরি করতে।
Comments are closed.