সীমান্তে ক্রমেই বাড়ছে উত্তেজনা। সোমবার রাতে লাদাখের গালওয়ান ভ্যালির লাইন অফ অ্যাকচুয়াল কন্ট্রোলে ভারত ও চিনের সেনার মধ্যে সংঘর্ষ। চিনের সেনার হামলায় এক কমান্ডিং অফিসার সহ মোট ৩ ভারতীয় সেনার মৃত্যু হয়েছে। পাল্টা হামলায় চিনের সেনারও ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। চিনের গ্লোবাল টাইমস সংবাদমাধ্যমে জানানো হয়েছে ভারতের হামলায় ৫ চিনা সেনার মৃত্যু হয়েছে, আহত হয়েছে ১১ সেনিক।
ভারতীয় সেনার তরফে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে, সেনা প্রত্যাহারের প্রক্রিয়া চলাকালীন চিনের দিক থেকে হামলা চালানো হয়। বিনা প্ররোচনায় চিন হামলা চালায় বলেও জানিয়েছে সেনা।
এদিকে চিনের তরফে পাল্টা অভিযোগ করা হয়েছে, ভারতীয় সেনাই সীমান্ত পেরিয়েছিল।
লাদাখের ঘটনার পরই দিল্লিতে জরুরি বৈঠকে বসেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিংহ, বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর, সিডিএস জেনারেল বিপিন রাওয়াত স্থল, নৌ এবং বায়ুসেনার প্রধানদের সঙ্গে বসে পরিস্থিতি পর্যালোচনা করেন। ঘটনার যাবতীয় অগ্রগতি সম্বন্ধে ওয়াকিবহাল রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই লাদাখের গালওয়ান উপত্যকা এলাকায় প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার কাছে বিবাদে জড়িয়ে পড়ে ভারত ও চিন। অভিযোগ, ভারতের কিছু এলাকা দখল করতে চায় চিন। সেই সময় বেশ কয়েকবার দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি হয়েছে। কিন্তু প্রাণ যাওয়ার মতো গুরুতর ঘটনা এই প্রথম। এর আগে ৪ দশকেরও বেশি আগে শেষবার চিন-ভারতের সংঘর্ষে প্রাণ গিয়েছিল কারও। তাই সোমবার রাতে ঘটে যাওয়া ঘটনাকে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন দ্বিপাক্ষিক বিশেষজ্ঞরা।
ভারত ও চিন, দুই দেশই করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়ছে। কিন্তু তার মধ্যেও চিনের তরফে যুদ্ধ উন্মাদনা তৈরিতে বিরাম নেই। এবার ভারতের তরফেও তার জবাব দেওয়া হল, এমনটাই মনে করছেন পর্যবেক্ষকরা।
Comments are closed.