৫ বিচারপতির বেঞ্চে নারদ শুনানি আজকের মতো শেষ। পরবর্তী শুনানি পরশু, বুধবার। এদিন শুনানিতে সিবিআইয়ের আইনজীবী সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহেতা বুধবার পর্যন্ত শুনানি স্থগিতের আর্জি জানান। তিনি বলেন, সুপ্রিম কোর্টে একটি স্পেশাল লিভ পিটিশন দাখিল করা হয়েছে। তার কী হয় সেটা জানতে বুধবার পর্যন্ত শুনানি স্থগিত করুক কলকাতা হাই কোর্ট। কিন্তু হাই কোর্ট তুষার মেহেতার সেই আবেদন খারিজ করে দেয়।
সিবিআইয়ের তরফে সলিসিটর জেনারেল ৪ হেভিওয়েটকে হেফাজতে রাখার পক্ষে সওয়াল করেন। তোলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর নিজাম প্যালেসে গিয়ে ধরনা প্রসঙ্গ। বলেন, সেদিন সিবিআই অফিস লক্ষ্য করে ইট ছোঁড়া হয়েছে। হাজার হাজার মানুষ রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন। পরিস্থিতির জেরে সিবিআই ধৃত ৪ জনকে শারীরিক ভাবে পেশ করতে পারেনি।
পাল্টা সিবিআইয়ের আইন-শৃঙ্খলা নিয়ে অভিযোগের ৯৫ শতাংশই মনগড়া বলে দাবি করেন অভিযুক্তদের আইনজীবী অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি। তাঁর সওয়াল, প্রথমত শুনানি অনুষ্ঠিত হয় ভার্চুয়ালি। দ্বিতীয়ত, কোর্টে কোনও মন্ত্রী যাননি। তৃতীয়ত, সুবিচার প্রদানের ক্ষেত্রে কোনও সমস্যাই তৈরি হয়নি। এবং চতুর্থত, অভিযুক্তকে না শুনে জামিনের রায়ে স্থগিতাদেশ আসলে ব্যক্তি স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ।
এরপর অভিযুক্তদের আরেক আইনজীবী সিদ্ধার্থ লুথরাও সিবিআইয়ের গ্রেফতারি নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন তোলেন। সওয়াল করেন সিনিয়ার আইনজীবী কল্যাণ ব্যানার্জি, অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত প্রমুখ। সব পক্ষের সওয়াল-জবাব শুনে ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দাল জানান, আজকের মতো শুনানি শেষ। মঙ্গলবার আমি থাকছি না। বুধবার এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে।
Comments are closed.