BCCI-তে এখন তিনিই ‘মহারাজ’; রজার বিনির এই চার দিক জানতেন? 

অনেকে বলছেন, ভারতীয় ক্রিকেটে কোহিলি যুগ, ধোনি যুগ এমনকী সৌরভ যুগেও তাঁকে সেই অর্থে বহু ক্রিকেট প্রেমীই চিনতেন না। বোর্ড সভাপতি হিসেবে নাম চূড়ান্ত হওয়ার পরে অনেকেই তাঁকে ‘চিনতে’ নেট ঘাঁটাঘাঁটি শুরু করেছেন। নাম রজার বিনি, ১৯৮৩-এর বিশ্বকাপজয়ী দলের অন্যতম সদস্য। ব্যাস এটুকু তথ্যই এখন সাধারণ ক্রিকেট প্রেমীদের মুখে মুখে। সময়ের বিচারে বিদায়ী সভাপতি সৌরভের তারকা ইমেজের ধারে কাছেও নেই তাঁর অবস্থান। কিন্তু সেই রজার বিনিই বর্তমানে সমস্ত আলোচনার কেন্দ্রে। যদিও আনুষ্ঠানিক ভাবে সভাপতির আসনে বসার পর জানিয়ে দিয়েছেন, তিনি সমস্ত বিতর্ক থেকে দূরে থাকতে চান। তবুও তাঁকে নিয়ে বর্তমানে ক্রিকেট তথা দেশের রাজনৈতিক মহল সরগরম। 

নিজেকে আড়ালে রাখলেও ৬৭ বছরের রজার বিনি সম্পর্কে এই চার তথ্য আপনাকেও অবাক করবে… 

১) শুধু ক্রিকেটই খেলেননি… 

ক্রিকেট ছাড়াও হকি, ফুটবল খেলেছেন বিনি। দক্ষ ছিলেন জ্যাভেলিন থ্রো’তেও। কর্ণাটক স্টেট টিমের হয়ে হকি খেলছেন। লেফ্ট ব্যাক পজিশনে খেলতেন তিনি। পাশাপাশি ফুটবলে গোল রক্ষকও ছিলেন। ক্রিকেট থেকে অবসরের পর তাঁকে নিয়মিত গল্ফ কোর্সেও দেখা যেত। বহুমুখী প্রতিভার হলেও শেষ পর্যন্ত রেলকর্মী বাবার পছন্দের ক্রিকেটকেই বেছে নেন ভারতীয় দলে খেলা প্রথম অ্যাংলো ইন্ডিয়ান। 

২) ‘৮৩’-এর বিশ্বকাপে সর্বচ্চ উইকেটের রেকর্ড…

শোনা যায় জাতীয় দলে বিনিকে রাখার জন্য নির্বাচকদের সঙ্গে রীতিমতো ‘ঝগড়া’ করছিলেন কপিল দেব। ‘৮৩’ বিশ্বকাপে সবথেকে বেশি ১৮টি ইউকেট নিয়েছিলেন রজার বিনি। দু’বছর পর ১৯৮৫ সালে বিশ্ব ক্রিকেটে চ্যাম্পিয়নশিপেও ১৭টি ইউকেট নিয়ে রেকর্ড করেছিলেন বিনি। 

৩)কোচ রজার বিনি…

ক্রিকেটার হিসেবে ১৯৮৩-এর দলের সদস্য ছিলেন। আবার ২০০০ সালে অনুর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপে প্রথমবার জয়ী হয় ভারত। সে সময় জাতীয় দলের কোচ ছিলেন রজার বিনি। 

৪) পশু ও প্রকৃতি প্রেমী…

একজন ক্রিকেটার, দক্ষ প্রশাসক হওয়ার পাশপাশি রজার বিনি একজন পশু প্রেমিকও। একই সঙ্গে তিনি প্রকৃতির মাঝেই সময় কাটাতে  ভালোবাসেন। কর্ণাটকের বন্দিপুরে একটি বাগানবাড়ি রয়েছে বিনির। সেখানেই বেশির ভাগ সময় থাকতে ভালোবাসেন। তাঁর বাগানবাড়িতে অসংখ্যা কুকুর রয়েছে। যাঁদের বেশিরভাগকে তিনি রাস্তা থেকে তুলে এনে আশ্রয় দিয়েছেন। মাছ ধরতেও ভীষণ পছন্দ করেন। 

সভাপতি হওয়ার পরেও বিশ্বকাপ জয়ীর গলায় কিছুটা আক্ষেপের সুর। বলছেন, আগের মতো আর প্রিয় পোষ্যদের সঙ্গে তিনি সময় কাটাতে পারবেন না। যদিও সভাপতি হওয়ার পরেও নিজেকে একটুও বদলাবে না বলেই ঘনিষ্ঠদের জানিয়েছেন। 

 

Comments are closed.