গত ছ’ বছরে ৭০ হাজার যুবশ্রী প্রকল্পের সুবিধাপ্রাপ্তের চাকরি হয়েছে। রাজ্যের বেকার যুবক-যুবতীর কর্মসংস্থানে সাহায্য করতে ২০১৩ সালের ১৩ অক্টোবর ‘যুবশ্রী’ প্রকল্পের উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। এই প্রকল্পে যাঁরা নাম তোলেন, তাঁদের রাজ্য সরকারের কর্মসংস্থান ব্যাঙ্কের আওতায় যুক্ত করার পাশাপাশি বিভিন্ন সংস্থাকে আমন্ত্রণ জানানো হয় তাদের চাহিদামতো কর্মী বেছে নিতে। নবান্ন সূত্রে খবর, মাসিক দেড় হাজার টাকা ভাতা পেতে এ পর্যন্ত প্রায় ৩৪ লক্ষ বেকার যুবক-যুবতী শ্রম দফতরের দ্বারস্থ হয়েছেন। নিজেদের নাম তুলেছেন এমপ্লয়মেন্ট এক্সচেঞ্জে। সরকারের তরফে প্রায় ৭০০ সংস্থাকে যোগ করা হয়েছে রাজ্যের যুবক-যুবতীদের চাকরি দেওয়ার জন্য। তবে এদের মধ্যে একলক্ষ ছেলে-মেয়ে এই দেড় হাজার টাকা ভাতা পেতেন। এঁদের মধ্যেই ৭০ হাজার জনের কর্মসংস্থান হওয়ার পর যুবশ্রী প্রকল্পের সুবিধাপ্রাপকের খাতা থেকে তাঁদের নাম কাটা গেল। এবার নতুন তালিকায় আরও ৭০ হাজার যুবক-যুবতীকে যোগ করা হয়েছে।
শ্রম দফতরের এক আধিকারিকের কথায়, সুবিধাপ্রাপ্তদের মধ্যে ৭০ হাজার মানুষের কর্মসংস্থান হওয়া নিঃসন্দেহে সরকারের একটি বড় সাফল্যের নজির। পরবর্তীকালে মুখ্যমন্ত্রীর মস্তিষ্কপ্রসূত এই প্রকল্পে আরও বেশি যুবক-যুবতীর কর্মসংস্থান হবে বলে আশাবাদী ওই সরকারি আধিকারিক। প্রসঙ্গত, রাজ্যের শ্রম দফতরের মাধ্যমে পরিচালিত হয় এই যুবশ্রী প্রকল্প। সংশ্লিষ্ট প্রকল্পে আইএফএমএস-এর মাধ্যমে টাকা দেওয়া হয় সুবিধাপ্রাপ্তদের।
২০১২ সালে রাজ্যের এমপ্লয়মেন্ট ব্যাঙ্কের সূচনা করেন মমতা এবং ২০১৩ সালে চালু হয় যুবশ্রী প্রকল্প। সেই সময় থেকে এই প্রকল্পে সরাসরি যুক্ত হতে থাকেন বেকার যুবক-যুবতীরা। অষ্টম শ্রেণি পাশ করলেই এখানে নাম লেখানো যায়। বয়সের সীমারেখা ১৮ বছর থেকে ৪৫ বছর। শিক্ষাগত যোগ্যতা ও তফসিলি জাতি ও উপজাতির মতো পিছিয়ে পড়া সম্প্রদায়ের ক্ষেত্রে বিভাগ অনুযায়ী পৃথক চাকরির সুবিধা পেতে পারেন নথিভুক্তকারীরা। মোবাইল নম্বর দিয়ে নাম নথিভুক্ত করতে হয়। এরপর রেজিস্ট্রেশন নম্বর দেওয়া হয়। তার সাহায্যে এমপ্লয়মেন্ট এক্সচেঞ্জে কাগজপত্র জমা দিতে হয় তাঁদের। এই এমপ্লয়মেন্ট এক্সচেঞ্জে সরকারি ও বেসরকারি মিলিয়ে প্রায় ৭০০ সংস্থা নিয়োগকারী হিসেবে যুক্ত রয়েছে। সেখান থেকেই নিজেদের চাহিদামতো যোগ্য কর্মীদের বেছে নিতে পারে এই সংস্থাগুলি।
Comments are closed.