উত্তর ভারতের তিন রাজ্যের আটটি বিমানবন্দরে উড়ান পরিষেবায় নিষেধাজ্ঞা জারি করার কয়েক ঘন্টার মধ্যেই তা প্রত্যাহার করে নিল ভারত। বুধবার সকালে জম্মু-কাশ্মীরের বদগাম জেলায় ভারতীয় বায়ুসেনার হেলিপ্টার ভেঙে পড়ার প্রেক্ষিতেই এই সিদ্ধান্ত বলে সূত্রের খবর। জম্মু-কাশ্মীর, পঞ্জাব ও হিমাচল প্রদেশের অমৃতসর, জম্মু, শ্রীনগর, লেহ, কুলু-মানালি, কাঙরা, শিমলা এবং পাঠানকোট বিমানবন্দর থেকে উড়ান পরিষেবা বন্ধ রাখার জন্য নির্দেশিকা জারি করা হয়। সরকারিভাবে তিন মাসের জন্য এই নোটিস জারি করা হলেও, কয়েক ঘন্টা পরে জম্মু-সহ কয়েকটি বিমানবন্দর থেকে এই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়।
বুধবার সকাল ১০ টা নাগাদ ভারতীয় বায়ুসেনার একটি এমআই-১৭ হেলিকপ্টার বদগাম জেলার গরিন্দ কালান গ্রামের একটি মাঠে ভেঙে পড়ে। প্রচণ্ড বিস্ফোরণের পর আগুন ধরে যায় চপারটিতে। তবে কী কারণে দুর্ঘটনা তা এখনও স্পষ্ট নয়। এদিকে পাকিস্তানের তরফে দাবি করা হয়েছে নিয়ন্ত্রণ রেখা পেরিয়ে যাওয়াতেই গুলি করে নামানো হয় হেলিকপ্টারটি। যদিও সেই দাবি উড়িয়ে দিয়েছে ভারত। কিন্তু ঘটনার জেরে পাক সীমান্তবর্তী বিমানবন্দরগুলি থেকে উড়ান পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়। বিমানবন্দরগুলিতে হাই এলার্ট জারি করা হয়। ভারতীয় বায়ুসেনা যেমন নিয়ন্ত্রণ রেখা অতিক্রম করে পাকিস্তানের ওপর হামলা চালিয়েছে, পাকিস্তানও তেমনই কিছু করার পরিকল্পনা করতে পারে। তাই এই সতর্কতা বলে জানা গিয়েছে।
এই বিজ্ঞপ্তির পরেই অমৃতসর এয়ারপোর্টের ডিরেক্টর এ পি আচার্য এক বিবৃতিতে জানান, বিশেষ কারণে অমৃতসর বিমানবন্দর থেকে উড়ান পরিষেবা বন্ধ রাখা হল। কোনও বানিজ্যিক উড়ান অমৃতসর বিমানবন্দরে নামছে না। ভিস্তারা এয়ারলাইনসের পক্ষ থেকে একটি ট্যুইট করে জানানো হয়, নিষেধাজ্ঞার কারণে অমৃতসর, শ্রীনগর, চণ্ডীগড় ও জম্মু থেকে সংস্থার বিমান পরিষেবা বন্ধ রয়েছে। নিষেধাজ্ঞা জারি হওয়ার পর থেকেই এয়ার ইন্ডিয়ার পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়। বুধবার দুপুর আড়াইটা নাগাদ এয়ার ইন্ডিয়ার পক্ষ থেকে ঘোষণা করা হয়, পাকিস্তানের আকাশ সীমা ব্যবহার করে কোনও বাণিজ্যিক বিমান চলছে না। দুপুর দুটো নাগাদ জেট এয়ারওয়েজের তরফে ট্যুইটে জানানো হয়, অমৃতসর, শ্রীনগর, জম্মু ও লেহ-র বিমানবন্দর থেকে জেট এয়ারওয়েজের উড়ান পরিষেবা স্থগিত করা হয়েছে।
নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার পরে এখনও পর্যন্ত কোনও উড়ান পরিষেবা চালু হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি ওই আট বিমানবন্দর থেকে।
Comments are closed.