অর্ডার করলেই ড্রোনে পৌঁছবে খাবার! জ়োম্যাটো-অ্যামাজ়নের নতুন পরিকল্পনায় জল্পনা তুঙ্গে

গুপি গাইন-বাঘা বাইন হাতে তালি দিয়ে মনপসন্দ খাবার আনতে পারতেন নিমেষে। এবার একই কাজ করতে পারেন আপনিও। মোবাইল ফোনের অ্যাপে গিয়ে খাবারের অর্ডার করলেই, আকাশপথে হাজির হবে চর্ব-চোষ্য-লেহ্য-পেয়। অবাক হচ্ছেন? এখন এমনই চোখ কপালে তোলা প্রযুক্ত নিয়ে হাজির হয়েছে অ্যামাজন ও জ়োম্যাটো। মোবাইলে অর্ডার করলেই ড্রোনে চড়ে হাজির হবে খাবার কিংবা অন্য কোনও জিনিস।

অনলাইনে খাবার অর্ডার করে বসে আছেন আধ ঘন্টার বেশি, কিন্তু দেখা নেই ডেলিভারি বয়ের। ট্রাফিক জ্যামে আটকে খাবার পৌঁছে দিতে দেরি হওয়ায় সংশ্লিষ্ট সংস্থা ও কর্মীকেও ক্রেতাদের অভিযোগের মুখোমুখি হতে হয়। আগামী দিনে এই সমস্যার সমাধানে ড্রোনের মাধ্যমে আকাশপথে খাবার পাঠানোর পরিকল্পনা করেছে ফুড ডেলিভারি সংস্থা জ়োম্যাটো। বুধবার সংস্থার ঘোষণা, আর ৩০ মিনিট অপেক্ষা নয়, ১৫ মিনিটের মধ্যে ড্রোনে চড়ে খাবার পৌঁছে যাবে ক্রেতাদের কাছে।
কিছুদিন আগেই ই-কমার্স জায়ান্ট অ্যামাজ়নও ঘোষণা করেছিল, অর্ডার করা পণ্য ৩০ মিনিটের মধ্যে ক্রেতার বাড়িতে পৌঁছে দিতে খুব শীঘ্রই ড্রোন পরিষেবা চালু করছে তারা। লাস ভেগাসে অ্যামাজ়নের নিজস্ব সমাবেশে সিইও জেফ উইলকে ঘোষণা করেছিলেন, খুব দ্রুত ড্রোনের মাধ্যমে ক্রেতার বাড়িতে পণ্য পৌঁছে দেবেন তাঁরা। অনেকটা ছোট হেলিকপ্টারের মতো দেখতে এই  ড্রোনগুলি আড়াই কেজিরও বেশি ওজনের পণ্য বহনে সক্ষম বলে জানিয়েছে অ্যামাজ়ন। এবার অ্যামাজ়নের পথে হেঁটে ফুড ডেলিভারি অ্যাপ জ়োম্যাটোও ঘোষণা করল, আকাশপথে ক্রেতাদের কাছে খাবার পৌঁছে দিতে প্রস্তুত হচ্ছে তারা। বুধবার জ়োম্যাটোর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পরীক্ষামূলক ড্রোন ডেলিভারি টেকনোলজিতে সাফল্য পেয়েছে তারা। জ়োম্যাটোর সিইও দীপেন্দ্র গোয়েল জানান, ড্রোন পরিষেবা চালু হলে ট্রাফিক জ্যামে আটকে পড়ে খাবার ডেলিভারি দিতে দেরি বা দূষণের মতো ইস্যু সহজেই এড়ানো যাবে। ড্রোনগুলি ৫ কেজি ওজন পর্যন্ত খাবারের প্যাকেট বহন করতে পারবে, বলেও জানানো হয়েছে।
প্রযুক্তি যত এগিয়েছে, পাল্লা দিয়ে বেড়েছে ই-কমার্সের ওপর সাধারণ মানুষের নির্ভরতা। মূলত শহরাঞ্চলে অনলাইনে কেনাকাটা ও খাবার অর্ডার করা বেড়েছে। অনলাইনে জিনিস অর্ডার করে যাতে দীর্ঘ সময় ক্রেতাকে আর অপেক্ষা করতে না হয়, তার জন্য ড্রোন পরিষেবা বিশেষ সহায়ক হবে মনে করছে জ়োম্যাটো ও অ্যামাজ়ন।
তবে সরকারিভাবে কবে, কোন শহর থেকে প্রথম ড্রোনের সাহায্যে পণ্য ও খাবার ডেলিভারি ব্যবস্থা কার্যকর হবে তা পরিষ্কারভাবে জানায়নি অ্যামাজন বা  জোম্যাটো।

Comments are closed.