এর আগে সাংবাদিকদের গ্রেফতার করা হয়েছে, দেশদ্রোহিতার অভিযোগে জেলে যেতে হয়েছে অসংখ্য মানবাধিকার কর্মী এবং পড়ুয়াকেও। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সাধারণ নাগরিক, সাংবাদিক, মানবাধিকার কর্মীর বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার মামলা রুজু করার অভিযোগ উঠেছে বিজেপি শাসিত কেন্দ্র বা একাধিক রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে। প্রতিটি ক্ষেত্রেই কংগ্রেস অভিযোগ করেছে, বিরুদ্ধ স্বর থামাতেই যাঁর-তাঁর বিরুদ্ধে দেশদ্রোহের মামলা দিচ্ছে বিজেপি। এবার কংগ্রেস শাসিত ছত্তিসগঢ়ে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে লোডশেডিং নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভিডিও পোস্ট করে গ্রেফতার হলেন এক ব্যক্তি। তাঁর বিরুদ্ধে শুরু হল দেশদ্রোহের মামলা। এবার বিজেপির পালটা অভিযোগ, কংগ্রেস এভাবেই রাজ্যকে জরুরি অবস্থার দিকে নিয়ে যেতে চাইছে, বিজেপিই তা রুখবে।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ছত্তিসগঢ়ের রাজনন্দগাঁও জেলার বাসিন্দা ৫৩ বছরের মাঙ্গেলাল আগরওয়ালকে গ্রেফতার করে ছত্তিসগঢ় পুলিশ। সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি একটি ভিডিও পোস্ট করেছিলেন। সেই ভিডিওয় মাঙ্গেলাল আগরওয়াল অভিযোগ করেন, রাজ্য সরকার একটি বেসরকারি ইনভার্টার প্রস্তুতকারক সংস্থার সঙ্গে গোপন চুক্তি করেছে। চুক্তি মতো প্রতি এক ঘণ্টা কিংবা দু’ঘণ্টায় ১০-১৫ মিনিট বিদ্যুৎ থাকবে না বলে দাবি মাঙ্গেলালের। লোডশেডিং বাড়লে ইনভার্টার বিক্রিও হু হু করে বাড়বে, এমনই দাবি ছিল মাঙ্গেলালের।
এই ভিডিও ভাইরাল হতেই গ্রেফতার করা হয় মাঙ্গেলালকে। দেওয়া হয় দেশদ্রোহিতার মামলা। কিন্তু লোডশেডিং নিয়ে সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুললে, তা কেন দেশ বিরোধী হবে, তা বুঝতে পারছেন না মাঙ্গেলাল। কংগ্রেসের অবশ্য দাবি, কেবল লোডশেডিং নিয়ে পোস্ট হলে কিছু বলার ছিল না। কিন্তু মাঙ্গেলাল ভুল তথ্য দিয়ে ভূপেশ বাঘেল সরকারকে কালিমালিপ্ত করতে চেয়েছিলেন।
আর এখানেই প্রশ্ন তুলছে বিরোধী বিজেপি। তাদের অভিযোগ, ভূপেশ বাঘেলের কংগ্রেস সরকার আসলে জরুরি অবস্থার দিকে নিয়ে যেতে চাইছে রাজ্যকে। তাই সামান্য অভিযোগকে দেশদ্রোহিতায় বদলে ফেলে মানুষের মুখ বন্ধের চেষ্টা করছে কংগ্রেস। দেশদ্রোহিতার মামলার তীব্র বিরোধিতা করা হবে বলেও রাজ্য বিজেপি সূত্রে খবর।
Comments are closed.