বিশ্বের প্রতি ৩ জন মানুষের মধ্যে ১ জন পরিশ্রুত পানীয় জলের সুবিধা থেকে বঞ্চিত। গোটা দুনিয়ায় এই সংখ্যাটা ২২০ কোটি! এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এল ইউনিসেফ ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (হু) যৌথ নজরদারি কর্মসূচির রিপোর্টে।
একুশ শতকে দাঁড়িয়েও পৃথিবীর প্রায় ২২০ কোটি মানুষকে পানীয় জলের জন্য নির্ভর করতে হয় পুকুর, জলাশয় বা এমন কোনও উৎসের ওপর যা তাদের স্বাস্থ্যে পক্ষে ক্ষতিকারক। ইউনিসেফ ও হু-র সাম্প্রতিক রিপোর্ট বলছে, বিশ্বের ৪২০ কোটি মানুষ চূড়ান্ত অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের মধ্যে বাস করতে বাধ্য হচ্ছেন। আধ ঘন্টার বেশি পথ পেরিয়ে তাঁদের পানীয় জল আনতে হয়। যদিও সেই জল কতটা নিরাপদ এবং স্বাস্থ্যসম্মত, সেই প্রশ্ন থেকেই যায়। এই ৪২০ কোটি মানুষের নিজেদের শৌচাগার নেই, হয় তাঁদেরকে খোলা যায়গায় মলত্যাগ করতে হয়, না হলে অন্য পরিবারের সঙ্গে শৌচাগার ভাগ করতে হয়। শুধু তাই নয়, ৩০০ কোটি মানুষ দৈনন্দিন কাজের পর হাত ধোয়ার জন্য জল বা সাবানও পান না। রিপোর্টে প্রকাশ, ২০০০ সাল থেকে সারা বিশ্বে ১৮০ কোটি মানুষকে সরকারিভাবে পানীয় জলের সুবিধা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তা শুধুমাত্র খাতায় কলমেই। রিপোর্ট অনুযায়ী, বিশ্বের প্রতি ১০ জনের ৮ জন মানুষ পানীয় জল, শৌচাগারের সুবিধা থেকে বঞ্চিত। এর ফলে প্রতি বছর প্রচুর মানুষ আক্রান্ত হন কলেরা, টাইফয়েড ইত্যাদি অসুখে। আগামী দিনে জলবাহিত নানা অসুখে আক্রান্ত হওয়ার সংখ্যা আরও বাড়বে, বলে জানাচ্ছে ইউনিসেফ ও হু-এর রিপোর্ট।
ইউনিসেফের সহকারী ডিরেক্টর কেলি অ্যান নেলরের মতে, পরিশুদ্ধ পানীয় জল ও প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরিষেবা পাওয়া যে কোনও মানুষের অধিকার। তাই প্রত্যেক দেশের সরকারের উচিত, এই অসাম্য দূর করে স্বাস্থ্য পরিষেবা খাতে আরও বেশি অর্থ খরচ করা এবং আরও উদ্যোগী পরিকল্পনা গ্রহণ করা।
Comments are closed.