পরিবেশ রক্ষার্থে রাজ্যের সমস্ত ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের পড়ুদের ক্যাম্পাসে চারাগাছ লাগানো, জলাধার নির্মাণে সহায়তা করা ও সৌর শক্তি ব্যবহার আবশ্যিক করার নির্দেশ দিল রাজস্থান সরকার। মহাত্মা গান্ধীর ১৫০ তম জন্মবার্ষিকী সামনে রেখে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
বিশ্বায়নের ফলে নির্বিচারে সবুজ ধ্বংস বা জল সঙ্কটের মতো সমস্যা এখন বিশ্বজুড়ে। এই কঠিন পরিস্থিতিতে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করতে একমাত্র উপায় প্রচুর সংখ্যক বৃক্ষ রোপণ এবং জল সংরক্ষণ করা। এই পরিপ্রেক্ষিতে রাজস্থান সরকারের নির্দেশ, পরিবেশ রক্ষার্থে অন্তত চারটি করে উদ্যোগ নিতে হবে রাজ্যের ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের পড়ুয়াদের। পড়াশোনার পাশাপাশি, বৃক্ষ রোপণ, জল সংরক্ষণ, অপ্রচলিত শক্তির ব্যবহার বাড়ানো ও কলেজ ক্যাম্পাস পরিচ্ছন্ন রাখার দায়িত্ব নিতে হবে পড়ুয়াদের।
রাজস্থান সরকার চালিত ১১ টি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে ভর্তির সময় প্রত্যেক পড়ুয়াকে একটি করে চারাগাছ দেওয়া হবে। কলেজে ভর্তির দিন থেকে গ্র্যাজুয়েট হওয়া পর্যন্ত ওই গাছের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব থাকবে সংশ্লিষ্ট ছাত্র বা ছাত্রীর ওপর। যে গাছের দায়িত্ব যার, তাঁর নাম খোদাই থাকবে গাছের নীচে। তবে শুধু কলেজ ক্যাম্পাসই নয়, ক্যাম্পাসের বাইরেও এই উদ্যোগ নিতে বলা হচ্ছে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়াদের। রাজস্থান সরকার পরিচালিত ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে প্রতি বছর সাড়ে ৩ হাজার পড়ুয়া ভর্তি হন। এঁদের প্রত্যেককে অন্তত একটা করে গাছকে বড় করার দায়িত্ব নিলে কয়েক বছরে পরিবেশের আমূল পরিবর্তন হবে।
অন্যদিকে, বিশ্বব্যাপী জল সংকট এক ভয়াবহ আকার নিচ্ছে। আর রাজস্থানের মতো রাজ্যে জলের সমস্যা তুলনামূলকভাবে অনেক বেশি। এই অবস্থায় রাজ্য সরকারের সব ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের ছাত্র-ছাত্রীকে জল সংরক্ষণের জন্য নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে। তাঁদের ইঞ্জিনিয়ারিং পাঠের সঙ্গে এই বিষয়টিও অন্তর্ভুক্ত করা হবে বলে রাজস্থান সরকার সূত্রে খবর। পুকুর খনন, বৃষ্টির জল জমানোর জন্য নানা জলাধার তৈরি, বাঁধ নির্মাণের জন্য পড়ুয়াদের প্রতিদিন কয়েক ঘন্টা শ্রমদান আবশ্যিক করা হবে। কলেজ ক্যাম্পাস ও পার্শ্বস্থ এলাকায় যাতে বৃষ্টির জল সংরক্ষণ করা হয় তার জন্য প্রত্যেক ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়াকে উদ্যোগ নিতে হবে। এছাড়াও সৌর শক্তি ব্যবহার বাড়ানো ও কলেজ ক্যাম্পাসের পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখতে ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজগুলিকে নির্দেশ দিয়েছে রাজস্থান সরকার।
Comments are closed.