গত ১১ বছর ধরে বেতন বৃদ্ধি হয়নি মুকেশ আম্বানীর। ২০০৮-০৯ সাল থেকে একই রয়েছে ভারতের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি, রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজের চেয়ারম্যান ও ম্যানেজিং ডিরেক্টর মুকেশ আম্বানীর বেতন।
রিলায়েন্স সংস্থার অন্য সমস্ত ডিরেক্টরের বেতন বছর বছর স্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পেলেও গত ১১ বছর ধরে মুকেশ আম্বানী বার্ষিক বেতন পান ১৫ কোটি টাকা। যা তাঁর সংস্থার অন্যান্য ডিরেক্টরের বার্ষিক বেতনের চেয়েও কম। রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজের সাম্প্রতিক রিপোর্ট জানাচ্ছে, গত ২০০৮-০৯ আর্থিক বছর থেকেই নিজের বার্ষিক মাইনে ১৫ কোটিতে সীমাবদ্ধ রাখার সিদ্ধান্ত খোদ মুকেশ আম্বানীরই। সংস্থার রিপোর্ট বলছে, ২০১৮-১৯ আর্থিক বছরে রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজের চেয়ারম্যান ও ম্যানেজিং ডিরেক্টর হিসেবে তাঁর প্রাপ্য বেতন ৩৮ কোটি ৭৫ লক্ষ টাকা। কিন্তু মুকেশ আম্বানী নিজেই কম বেতন নিয়েছেন।
২০০৯ সালের অক্টোবরে মুকেশ আম্বানীর সংস্থার সিইও-দের বেতন কম হওয়া নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। সে সময় থেকে নিজের বেতন ১৫ কোটিতেই সীমাবদ্ধ রেখেছেন তিনি। তবে রিলায়েন্সের অন্যান্য পদস্থ আধিকারিকদের বেতন স্বাভাবিক হারেই বৃদ্ধি পেয়েছে। সংস্থার রিপোর্ট থেকেই এর উদাহরণ টানা যেতে পারে। রিলায়েন্সের অন্য দুই ম্যানেজিং ডিরেক্টর তথা মুকেশ আম্বানীর আত্মীয় নিখিল মেশওয়ানি ও হিতাল মেশওয়ানি বা কোম্পানির এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর পি এম এস প্রসাদের বেতন বেশ বেড়েছে। ২০১৯ সালে নিখিল ও হিতাল মেশওয়ানি, এই দুই ভাইয়ের বার্ষিক মাইনে হয়েছে ২০ কোটি ৫৭ লক্ষ টাকা। আর সংস্থার ডিরেক্টর পি এম এস প্রসাদ সংশ্লিষ্ট আর্থিক বছরে পারিশ্রমিক পেয়েছেন ১০ কোটি ১ লক্ষ টাকা। গত আর্থিক বছরে তাঁর বেতন ছিল ৮ কোটি ৯৯ লক্ষ টাকা। পাশাপাশি, মুকেশ আম্বানীর স্ত্রী নীতা আম্বানী রয়েছেন সংস্থার নন-এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর পদে। শুরু থেকে তিনি বছরে ৭৫ লক্ষ টাকা মাইনে পেতেন। এই আর্থিক বছরে তাঁর বার্ষিক বেতন হয়েছে ১ কোটি ৬৫ লক্ষ টাকা। এছাড়া, প্রতি বোর্ড মিটিংয়ে নীতা আম্বানি নেন ৭ লক্ষ টাকা, যা গত আর্থিক বছরে ছিল ৬ লক্ষ টাকা। অর্থাৎ, নিয়ম মাফিক রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রির সব শীর্ষ আধিকারিকের বেতন বাড়ছে, একই রয়েছে শুধু সংস্থার কর্ণধার মুকেশ আম্বানীর বেতন।
Comments are closed.