ইজরায়েলের ভোট প্রচারে মোদীর ছবি ব্যবহার করছেন সে দেশের প্রধানমন্ত্রী নেতানইয়াহু
২০১৯ লোকসভা ভোটে মোদী ম্যাজিকের সৌজন্যে বিপুল জনসমর্থন নিয়ে টানা দ্বিতীয়বার কেন্দ্রে ক্ষমতা দখল করেছে বিজেপি। ভোট প্রচারের জন্য গোটা দেশ চষে বেড়িয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদী, ফলও মিলেছে হাতেনাতে। এবার ভারতের প্রধানমন্ত্রীর ছবি ব্যবহার করে ঢালাও ভোট প্রচার করছেন ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানইয়াহু।
আগামী ১৭ ই সেপ্টেম্বর হতে চলেছে ইজরায়েলের ভোট। সেই ভোট প্রচারে নরেন্দ্র মোদীর ছবি ব্যবহার করে প্রচার চালাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানইয়াহু। আরও একবার ইজরায়েলের ক্ষমতা দখল করতে এই অভিনব ভোট প্রচারের কৌশল নিয়েছেন ইজরায়েলের সবচেয়ে বেশি সময়ের প্রধানমন্ত্রী।
বেঞ্জামিনের লিকুড পার্টির পক্ষ থেকে ভোট প্রচারের হোর্ডিংয়ে ব্যবহার করা হচ্ছে নরেন্দ্র মোদী ও ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রীর ছবি। জনগণকে বোঝানোর চেষ্টা করা হচ্ছে, বিদেশনীতিতে কতটা সফল বেঞ্জামিন ইয়ানইয়াহু। সেই সঙ্গে বিশ্বব্যাপী তাঁর গ্রহণযোগ্যতা বোঝানোর জন্যও এই প্রচার কৌশল নেওয়া হয়েছে। শুধু নরেন্দ্র মোদীই নন, আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গে ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রীর ছবি ব্যবহার করে ভোট প্রচারে নেমেছে লিকুড পার্টি।
ইজরায়েলের ইতিহাসে সব থেকে বেশি সময়ের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানইয়াহু এবারের ভোটে বেশ চাপেই আছেন বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। গত ৯ ই এপ্রিলের নির্বাচন শেষে পঞ্চমবারের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কুর্সি দখল করেন বেঞ্জামিন নেতানইয়াহু। কিন্তু একটি সেনা বিল নিয়ে মতভেদের কারণে ইজরায়েলের জোট সরকার ভেঙে যায়। বিভিন্ন ওপিনিয়ান পোল বলছে, আগামী ১৭ ই সেপ্টেম্বরের ভোটে কড়া চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে চলেছে বেঞ্জামিনের লিকুড পার্টি। তাই নতুন নতুন ভোট প্রচারের কৌশল নিয়েছে বেঞ্জামিনের দল। এর মধ্যে একটি হল, বিভিন্ন দেশের প্রধানমন্ত্রী ও প্রেসিডেন্টের সঙ্গে ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রীর সুসম্পর্ক ও বিদেশনীতির সাফল্য সম্পর্কে ভোটারদের অবহিত করা।
প্রসঙ্গত, গত বছরের জানুয়ারিতে ভারত সফর করেছেন ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী। অন্যদিকে, নরেন্দ্র মোদীই প্রথম প্রধানমন্ত্রী যিনি ইজরায়েল সফর করেছেন। পাশাপাশি, ইজরায়েলের ভোটের ৮ দিন আগে, আগামী ৯ ই সেপ্টেম্বর ভারত সফর রয়েছে বেঞ্জামিন নেতানইয়াহুর। তাই বেঞ্জামিনের লিকুড পার্টি এই অভূতপূর্ব প্রচার কৌশল নিয়েছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।
Comments are closed.