জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদার অবসানে সংসদে সংবিধানের ৩৭০ ধারা তুলে নেওয়ার প্রস্তাব পেশ করলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এই ধারার মাধ্যমে সংবিধানে বিশেষ রাজ্যের মর্যাদা পায় জম্মু-কাশ্মীর। সংশোধিত কাশ্মীর সংরক্ষণ বিল পেশের মাধ্যমে সেই বিশেষ মর্যাদা খারিজ করার প্রস্তাব রয়েছে। এরপরই রাজ্যসভায় শুরু হয়ে যায় গোলমাল। এই ধারা বাতিল হলে স্বভাবতই তামাদি হয়ে যাবে ৩৫-এ ধারাও। এই ধারা প্রত্যাহারে রাষ্ট্রপতিকে সুপারিশ করা হয়েছে বলে রাজ্যসভায় জানান অমিত শাহ। পাশাপাশি জম্মু-কাশ্মীরকে একটি কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলের মর্যাদা দিয়ে লাদাখকে পৃথক কেন্দ্র শাসিত অঞ্চল করারও প্রস্তাব সোমবার সংসদে দেওয়া হয় সরকারের তরফে। প্রস্তাবের তীব্র বিরোধিতা বিরোধীদের।
গত কয়েক দিন ধরেই উপত্যকায় হাজার হাজার অতিরিক্ত সেনা মোতায়েন করা হচ্ছে। রবিবার গভীর রাত থেকে ওমর আবদুল্লা ও মেহবুবা মুফতিকে গৃহবন্দি করে রাখা হয়েছে। উপত্যকা জুড়ে স্কুল-কলেজ বন্ধ, টেলিফোন, ইন্টারনেট পরিষেবাও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এই প্রেক্ষিতে সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে সংসদে বিবৃতি দেন অমিত শাহ। তিনি বলেন, জম্মু-কাশ্মীর নিয়ে বিরোধীদের সঙ্গে আলোচনায় প্রস্তুত। এরপরই জম্মু-কাশ্মীরকে বিশেষ মর্যাদা দেওয়া আর্টিকেল ৩৭০ প্রত্যাহারের প্রস্তাব পেশ করেন। রাষ্ট্রপতি সম্মতি জানালেই তামাদি হয়ে যাবে আইনটি। এরপর বিরোধীদের প্রবল আপত্তিতে কিছুক্ষণের জন্য মুলতুবি রাখা হয় অধিবেশন। তারপর ফের শুরু হয় অধিবেশন।
Comments are closed.