হাফিজ সইদ মামলা থেকে নাম বাদ দিতে দিল্লির ব্যবসায়ীর কাছে ঘুষ চাওয়ার চাঞ্চল্যকর অভিযোগ ৩ এনআইএ আধিকারিকের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার অভিযুক্ত ৩ আধিকারিককেই দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। দিল্লির এক ব্যবসায়ীর অভিযোগের ভিত্তিতেই এই পদক্ষেপ জাতীয় তদন্তকারী সংস্থার।
অভিযুক্ত ৩ জনের মধ্যে রয়েছেন একজন পুলিশ সুপার পদমর্যাদার অফিসার। তাঁরা সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপের উদ্দেশে অর্থ সাহায্যের একটি অভিযোগের তদন্তে নিযুক্ত ছিলেন। যে মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত জামাত-উদ-দাওয়া প্রধান হাফিস সইদ। জঙ্গি কার্যকলাপ চালাতে কার কার কাছে অর্থ সাহায্য গিয়েছিল, তা তদন্ত করে দেখছে এনআইএ। নিউজ পোর্টাল thewire.in এ প্রকাশিত প্রতিবেদন জানাচ্ছে, অভিযুক্ত পুলিশ সুপার পদমর্যাদার অফিসার এর আগে সমঝোতা এক্সপ্রেস বিস্ফোরণ এবং অজমেঢ় শরিফ জঙ্গি মামলার তদন্তে যুক্ত ছিলেন। ঘুষ চাওয়ার অভিযুক্ত বাকি দুজন জুনিয়র অফিসার।
অভিযোগ, এই ৩ জন এনআইএ অফিসার দিল্লির ওই ব্যবসায়ীর নাম ফালাহ-ই-ইনসানিয়াত ফাউন্ডেশন (এফআইএফ) মামলা থেকে বাদ দেওয়ার জন্য ২ কোটি টাকা ঘুষ চান। এফআইএফ চালান ভারতের মোস্ট ওয়ান্টেড সন্ত্রাসবাদী হাফিস সইদ।
সূত্রের খবর, দিল্লির ওই ব্যবসায়ীর বাড়িতে তল্লাশি চালায় এনআইএ। সন্ত্রাসে মদত যোগাতে পাকিস্তান থেকে মোটা অঙ্কের অর্থ সাহায্য দুবাই হয়ে এই ব্যবসায়ীর কাছেই পৌঁছায় বলে খবর ছিল এনআইএর কাছে। অভিযোগ, তল্লাশি চলাকালীনই দিল্লির ওই ব্যবসায়ীকে মামলা থেকে নাম বাদ দেওয়ার টোপ দেন এনআইএর ৩ অফিসার। বিনিময়ে দাবি করেন ২ কোটি টাকা।
এনআইএ সূত্রে খবর, একজন ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল পদমর্যাদার অফিসার ঘুষের অভিযোগের তদন্ত করছেন। স্বচ্ছ তদন্তের স্বার্থে অভিযুক্ত ৩ এনআইএ অফিসারকে কাজ থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
২০০৯ সালে ২৬/১১ মুম্বই হামলার পর জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ) তৈরি করা হয়। কেন্দ্রীয় এই সংস্থা মূলত সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপের তদন্ত করে। সম্প্রতি আইনে সংশোধনীর মাধ্যমে সংস্থার ক্ষমতা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে মোদী সরকার।
এবার এই প্রিমিয়ার ইনভেস্টিগেশন এজেন্সির অফিসারের বিরুদ্ধে হাফিস সইদ মামলায় ঘুষ চাওয়ার অভিযোগ। এই ঘটনায় সংস্থার বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠল বলেই মনে করছেন পর্যবেক্ষকরা।
Comments are closed.