আরও বিপাকে পাকিস্তান। জঙ্গিদের অর্থ সাহায্য ও আর্থিক তছরুপের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ হওয়ায় পাকিস্তানকে কালো তালিকাভুক্ত করল বিশ্বব্যাপী আর্থিক নজরদারি সংস্থা ফিনান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্স (এফএটিএফ)। আগামী এক মাসের মধ্যে সন্ত্রাস দমনে উপযুক্ত ভূমিকা না নিলে, অক্টোবরে বড় ধরনের আর্থিক নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়তে হতে পারে ইসলামাবাদকে।
অস্ট্রেলিয়ার ক্যানবেরায় গত দু’দিনে মোট ৭ ঘন্টা এই বৈঠকের পর পাকিস্তানকে কালো তালিকাভুক্ত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে খবর। পাকিস্তানের ১০ সদস্যের প্রতিনিধি দল সবরকম চেষ্টা সত্ত্বেও ৪১ সদস্যকে সঠিক কার্যকারণ ব্যাখ্যা করতে পারেনি।
শুক্রবার ফিনান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্সের এশিয়া প্যাসিফিক বিভাগ জানিয়েছে, অর্থ-তছরুপ ও সন্ত্রাসবাদী তহবিল গঠনের বিষয়ের ৪০ টি কমপ্লায়েন্স প্যারামিটারের ৩২ টিতে এবং জঙ্গিদের অর্থ সাহায্য ও আর্থিক তছরুপের ১১ টি শর্তের ১০ টি পূরণ করতে পারেনি পাকিস্তান।
২০১৮ সালের জুনে পাকিস্তানকে সন্ত্রাসবাদী সংগঠনদের আর্থিক সাহায্য বন্ধের ব্যাপারে কড়া নির্দেশ জারি করেছিল এফএটিএফ। আর্থিক তছরুপ এবং সন্ত্রাসবাদের তহবিল গঠন বন্ধ করার মতো চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় দুর্বল বলে বিবেচিত হওয়ায়, তখন থেকেই তাদের ‘ধূসর তালিকাভুক্ত’ করা হয়। এই অক্টোবরের মধ্যে পাক মাটিতে থাকা সন্ত্রাসবাদী সংগঠনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে না পারলে বড় সমস্যার মুখোমুখি হতে হবে ইসলামাবাদকে বলে সাবধান করা হয়।
ভারত সহ এফএটিএফ-র অন্যান্য সদস্য দেশ পাকিস্তানের বিরুদ্ধে হাফিজ সইদ, মাসুদ আজহার এবং রাষ্ট্রসঙ্ঘ দ্বারা ঘোষিত অন্যান্য সন্ত্রাসীবাদীর বিরুদ্ধে দৃঢ় পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হওয়ার অভিযোগ তুলেছিল। তারা এও অভিযোগ করে, পাকিস্তানের সন্ত্রাসবিরোধী আইন এখনও আন্তর্জাতিক মানদণ্ডের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। পাকিস্তান ধূসর তালিকায় থেকে গেলে মুডি, স্ট্যান্ডার্ড অ্যান্ড পুয়ারস এবং ফিচের মতো ক্রেডিট রেটিং এজেন্সির মূল্যায়নের পাশাপাশি আইএমএফ, ওয়ার্ল্ড ব্যাঙ্ক এবং এশিয়ান ডেভলপমেন্ট ব্যাঙ্কের কাছেও পাকিস্তানের অবস্থান নিম্নমুখী হবে। ফলত আর্থিক বোঝা আরও বাড়বে পাকিস্তানের, চরম অবস্থায় পৌঁছবে অর্থনৈতিক মন্দা।
Comments are closed.