দান করেছেন বিপুল সম্পত্তি, ফোর্বসের তালিকায় ২ থেকে ১৭ য় আজিম প্রেমজি, অনন্যতায় উজ্জ্বল উইপ্রো কর্ণধার

একদিকে এক যুগ ধরে ধনীতম ব্যক্তির শিরোপা মুকেশ আম্বানীর মাথায়, সেই তালিকাতেই চমকপ্রদ উত্থান গৌতম আদানির। অন্যদিকে গৌতম আদানি যে ব্যক্তির স্থান নিলেন, সেই উইপ্রো কর্ণধার আজিম প্রেমজি ফোর্বসের ধনী ব্যক্তিদের তালিকায় এক ধাক্কায় নেমে গেলেন ১৭ তম স্থানে। কিন্তু এই অবনমনে ব্যর্থতা নেই, বরং রয়েছে গৌরব, এমনটাই মনে করছে নেট দুনিয়া।

কোনও ব্যবসায়িক ক্ষতি বা ঋণের কারণে নয়, দেশের দ্বিতীয় ধনীতম ব্যক্তি থেকে সপ্তদশ স্থানে আজিম প্রেমজির ছিটকে যাওয়ার একমাত্র কারণ হল, এক বছরের মধ্যে তিনি তাঁর সম্পত্তির বিশাল অংশ দান করে দিয়েছেন। গত বছরেও উইপ্রোর চেয়ারম্যান আজিম প্রেমজির সম্পত্তির পরিমাণ ছিল ২১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। কিন্তু এক বছরের মধ্যে সম্পত্তির বিপুল অংশ তিনি দান করে দিয়েছেন নানা জনমুখী প্রকল্পে।
বর্তমান আজিম প্রেমজির সম্পত্তির পরিমাণ ৭.২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এখনও বিশাল সম্পদের মালিক হলেও তাঁর এই দানশীলতাই তাঁকে বাকি ধনীদের মধ্যে অন্যন্য করে তুলেছে। ফোবর্স পত্রিকার এই তালিকা প্রকাশের পর সোশ্যাল মিডিয়ায় আজিম প্রেমজির ভূয়সী প্রশংসা করছেন নেটিজেনরা। দেশের ধনীতম ব্যক্তি হিসাবে মুকেশ আম্বানী বা চমকপ্রদ উত্থানে তাক লাগিয়ে দেওয়া গৌতম আদানিকে নিয়ে মানুষ যতটা না বিস্মিত তার চেয়ে অধিক প্রশংসা কুড়িয়েছেন ১৭ তম স্থানে ছিটকে যাওয়া আজিম প্রেমজি।
প্রসঙ্গত, ফোর্বসের তালিকায় দেশের ধনীতম ব্যক্তি মুকেশ আম্বানীর সম্পত্তির পরিমাণ ৫১.৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে উঠে আসা গৌতম আদানির মোট সম্পদের পরিমাণ ১৫.৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। ভারতীয় ধনীদের মধ্যে ফোবর্সের তালিকায় তৃতীয় স্থানে রয়েছেন অশোক লেল্যান্ডের হিন্দুজা ভাইয়েরা, চতুর্থ স্থানে সাপুরজি পালোনজি গ্রুপের কর্ণধার পালোনজি মিস্ত্রি। পঞ্চম স্থানে রয়েছেন কোটাক মহিন্দ্রা ব্যাঙ্কের উদয় কোটাক। পাশাপাশি, ৬ জন সুপার রিচ এই প্রথম ফোর্বসের তালিকায় ঢুকেছেন। এই তালিকায় রয়েছেন দশম স্থান দখল করা আদিত্য বিড়লা গ্রুপের কর্ণধার কুমারমঙ্গলম বিড়লা। ১৩ নম্বরে রয়েছেন ডাবরের মালিক বর্মন পরিবার। ফোবর্সের ১০০ ধনীতম ভারতীয়ের তালিকায় ১৯ তম স্থানে রয়েছেন কলকাতার আরেক ব্যবসায়ী, শ্রী সিমেন্টের মালিক বেণুগোপাল বাঙুর। কিন্তু সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন দেশের ১৭ তম ধনী ব্যক্তি আজিম প্রেমজি।

Comments are closed.