এনআরসি বিরোধিতায় মাওবাদীদের তৎপরতায় উদ্বেগে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলি, সতর্ক করা হল বিভিন্ন রাজ্যকে
এনআরসি বিরোধিতায় মাওবাদীদের তৎপরতা নিয়ে এবার নড়েচড়ে বসল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। অসমে এনআরসি নিয়ে ইতিমধ্যেই বিরোধিতা শুরু করেছে বিরোধী দলগুলি। এমনকী অসম বিজেপিও প্রকাশ্যে এনআরসি বিরোধিতা করেছে। কিন্তু কেন্দ্র সারা দেশে এনআরসি চালু করতে বদ্ধপরিকর। অসমের পর এবার বাংলায় এনআরসি করা হবে বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। যার বিরোধিতায় সোচ্চার হয়েছে তৃণমূল, সিপিএম, কংগ্রেস সহ প্রায় সমস্ত রাজনৈতিক দল। এই প্রেক্ষিতে এবার এনআরসি বিরোধিতায় নামতে চলেছে মাওবাদীরাও। যা উদ্বেগে রেখেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রককে। এনআরসি নিয়ে সিপিআই মাওবাদীদের সম্প্রতি জারি করা প্রেস বিবৃতির জেরে সক্রিয় করা হয়েছে গোয়েন্দা সংস্থাগুলিকে।
সূত্রের খবর, সিপিআই মাওবাদীর কেন্দ্রীয় কমিটির পূর্বাঞ্চলীয় ব্যুরোর তরফে গত ১ লা অক্টোবর জারি করা হয়েছে একটি প্রেস বিবৃতি। তাতে মাওবাদীদের মুখপাত্র সংকেতের অভিযোগ, এনআরসির মাধ্যমে দেশের মানুষকে আধুনিক যুগের ক্রীতদাসে পরিণত করার চক্রান্ত করেছে মোদী সরকার। আরএসএস-বিজেপির বিরুদ্ধে সশস্ত্র প্রতিরোধ সহ প্রতিবাদ আন্দোলন গড়ে তুলতে আহ্বান জানানো হয়েছে মাওবাদীদের প্রেস বিবৃতিতে।
মাওবাদীদের এই বিবৃতি মাথাব্যথা বাড়িয়েছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলির। বিশেষ করে উত্তর-পূর্ব ভারত এবং মহারাষ্ট্র-ছত্তিশগঢ়-মধ্য প্রদেশে বেশ কিছু জায়গায় মাওবাদীদের যথেষ্ট প্রভাব রয়েছে। তারা কীভাবে এনআরসি বিরোধী আন্দোলনে সক্রিয় হচ্ছে তা খতিয়ে দেখতে ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা বিশেষ তৎপরতা শুরু করেছে। এর জন্য কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার পক্ষ থেকে বিভিন্ন রাজ্য সরকারকেও সতর্ক করা হয়েছে।
প্রেস বিবৃতিতে মাওবাদীরা প্রশ্ন তুলেছে, কেন্দ্রীয় সরকার এনআরসি চালু করার উদ্যোগ নিচ্ছে কেন? তাদের অভিযোগ, এনআরসির মাধ্যমে বিশাল সংখ্যক ভারতবাসীকে রাষ্ট্রহীন করে দিয়ে, সমস্ত আইনি সুযোগ সুবিধা কেড়ে, যৎসামান্য মজুরির বিনিময়ে কাজ করতে বাধ্য করাই বিজেপির আসল উদ্দেশ্য। মাওবাদীদের এই বিবৃতি প্রকাশ্যে আসার পরই একাধিক রাজ্যে বিজেপি নেতা-মন্ত্রীদের নিরাপত্তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
Comments are closed.