নজিরবিহীনভাবে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের বিরুদ্ধে কেন্দ্রের কাছে নালিশ জানাল রাজ্যের শাসক দল। রবিবার দিল্লিতে সর্বদলীয় বৈঠকে তৃণমূলের লোকসভার দলনেতা সুদীপ ব্যানার্জি এবং রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তথা বিজেপির জাতীয় সভাপতি অমিত শাহের কাছে ধনকড়ের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন। অমিতের কাছে দুই তৃণমূল নেতার অভিযোগ, রাজ্য সরকারকে এড়িইয়ে এবং তাকে জড়িয়ে রাজ্যপাল একের পর এক যে সব কাণ্ড করে যাচ্ছেন, তা দেশের যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর পরিপন্থী। তৃণমূলের দাবি, রাজ্যপালকে ডেকে কেন্দ্র সতর্ক করে দিক। এমনকী এই ব্যাপারে তাঁর কাছে কৈফিয়ৎ চাওয়া উচিত বলে তৃণমূল মনে করে। সংসদের দুই কক্ষে বিষয়টি তারা তুলতে পারে বলেও তৃণমূলের তরফে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে।
তৃণমূল সাংসদদের আশা, এ ব্যাপারে তাঁরা অন্যান্য বিরোধী দলকেও পাশে পাবেন।
রাজনৈতিক মহলের বক্তব্য, কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে কোনও রাজ্যপালের বিরুদ্ধে একটি রাজ্যের শাসক দলের এই ধরনের নালিশ কার্যত নজিরবিহীন। স্মরণকালের মধ্যে এরকম ঘটনা ঘটেছে বলে প্রবীণ রাজনৈতিক নেতারা মনে করতে পারছেন না। গত শতকের ছয়ের দশকে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল ধরমবীরের কার্যকলাপ নিয়ে অজয় মুখার্জির নেতৃত্বাধীন যুক্তফ্রন্ট সরকার তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীকে নালিশ করেছিল। অজয় মুখার্জি, জ্যোতি বসুরা ধরমবীরকে সরিয়ে দেওয়ারও দাবি তুলেছিলেন। সেই দাবি মেনে ইন্দিরা গান্ধী ধরমবীরকে রাজ্যপালের পদ থেকে সরিয়ে এ এল ডায়ার্সকে রাজ্যপাল করেন পশ্চিমবঙ্গের। তারপরেও, বিভিন্ন সময়ে পশ্চিমবঙ্গে শাসক দলের সঙ্গে রাজ্যপালের মতবিরোধ হয়েছে। কিন্তু কখনওই বামফ্রন্ট সরকার কেন্দ্রের কাছে কোনও রাজ্যপালের বিরুদ্ধে এভাবে নালিশ করেনি। ধনকড়ের সঙ্গে কার্যত প্রথম থেকেই নানা ইস্যুতে তৃণমূল সরকারের বিরোধ চলছে। কিন্তু তাঁর বিরুদ্ধে নালিশের মাধ্যমে রাজভবন-নবান্ন সংঘাত যেভাবে রাজ্য ছেড়ে দিল্লির দরবারে পৌঁছে গেল, তাও অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।
সংসদের শীতকালীন অধিবেশন শুরুর আগের দিন, রবিবার প্রথামাফিক প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ডাকা সর্বদলীয় বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূলের লোকসভার নেতা সুদীপ ব্যানার্জি ও রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন। সভায় উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তাঁর কাছে রাজ্যপালের বিষয়ে নিয়ে তৃণমূল সাংসদরা সরব হন। ওই বৈঠকে শেষের দিকে হাজির হন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
যেহেতু কেন্দ্রই বিভিন্ন রাজ্যে রাজ্যপাল নিয়োগ করে থাকে এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর তাতে সক্রিয় ভূমিকা থাকে, তাই অমিত শাহের কাছেই রাজ্যপালকে নিয়ে অভিযোগ করে তৃণমূল।
অমিত শাহের কাছে রাজ্যপালকে নিয়ে ঠিক কী বলা হয়েছে? সর্বদলীয় বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ডেরেক ও ‘ব্রায়েন জানান, রাজ্যপালকে বিভিন্ন বিষয়ে সহযোগিতার ক্ষেত্রে অনিচ্ছুক নয় পশ্চিমবঙ্গ সরকার। কিন্তু রাজ্য সরকারকে সম্পূর্ণ অন্ধকারে রেখে একের পর এক কাজ করে চলেছেন রাজ্যপাল ধনকড়। তাঁর কাজ দেশের যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর মূল সুরের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়। সংবিধান অনুযায়ী যে কাজ হওয়া উচিত, তা বাধা পাচ্ছে বলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে জানানো হয়েছে।
সূত্রের খবর, রাজ্যপালকে নিয়ে তৃণমূলের এই অভিযোগের বিষয়টি মন দিয়ে শুনেছেন অমিত শাহ। তবে কোনও মন্তব্য করেননি। এরপর, সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশী তৃণমূলের বক্তব্য লিপিবদ্ধ করে প্রধানমন্ত্রীর হাতে তুলে দেন বলে খবর।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়কে ছাত্রদের বিক্ষোভ থেকে উদ্ধার থেকে শুরু করে দুর্গাপুজোর কার্নিভ্যাল বিতর্ক, শিক্ষা, স্বাস্থ্য সহ একাধিক বিষয়ে রাজ্যপালের মন্তব্যে রাজ্য সরকারের সঙ্গে তাঁর দূরত্ব তৈরি হয়েছে। সম্প্রতি ধনকড়ের সিঙ্গুর সফর ও সিঙ্গুর-নন্দীগ্রাম নিয়ে মন্তব্য একেবারেই ভালোভাবে নেয়নি রাজ্যের শাসক দল। তারপরে রয়েছে হেলিকপ্টার বিতর্ক। খোদ মুখ্যমন্ত্রীও নাম না করে রাজ্যপালকে আক্রমণ করে বলেছেন, কেউ কেউ বিজেপির মুখপাত্রের মতো আচরণ করছেন এবং সমান্তরাল প্রশাসন চালানোর চেষ্টা করছেন। এই বিষয়টি কেন্দ্রের দেখা উচিত বলেও মন্তব্য করেন মুখ্যমন্ত্রী। এখন দেখার, রাজ্যপালের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় সরকার কোনও পদক্ষেপ করে কিনা, কিংবা তৃণমূল সংসদের দুই কক্ষে বিষয়টি তুলে হইচই বাধায় কিনা।
তৃণমূল সাংসদদের আশা, এ ব্যাপারে তাঁরা অন্যান্য বিরোধী দলকেও পাশে পাবেন।
রাজনৈতিক মহলের বক্তব্য, কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে কোনও রাজ্যপালের বিরুদ্ধে একটি রাজ্যের শাসক দলের এই ধরনের নালিশ কার্যত নজিরবিহীন। স্মরণকালের মধ্যে এরকম ঘটনা ঘটেছে বলে প্রবীণ রাজনৈতিক নেতারা মনে করতে পারছেন না। গত শতকের ছয়ের দশকে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল ধরমবীরের কার্যকলাপ নিয়ে অজয় মুখার্জির নেতৃত্বাধীন যুক্তফ্রন্ট সরকার তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীকে নালিশ করেছিল। অজয় মুখার্জি, জ্যোতি বসুরা ধরমবীরকে সরিয়ে দেওয়ারও দাবি তুলেছিলেন। সেই দাবি মেনে ইন্দিরা গান্ধী ধরমবীরকে রাজ্যপালের পদ থেকে সরিয়ে এ এল ডায়ার্সকে রাজ্যপাল করেন পশ্চিমবঙ্গের। তারপরেও, বিভিন্ন সময়ে পশ্চিমবঙ্গে শাসক দলের সঙ্গে রাজ্যপালের মতবিরোধ হয়েছে। কিন্তু কখনওই বামফ্রন্ট সরকার কেন্দ্রের কাছে কোনও রাজ্যপালের বিরুদ্ধে এভাবে নালিশ করেনি। ধনকড়ের সঙ্গে কার্যত প্রথম থেকেই নানা ইস্যুতে তৃণমূল সরকারের বিরোধ চলছে। কিন্তু তাঁর বিরুদ্ধে নালিশের মাধ্যমে রাজভবন-নবান্ন সংঘাত যেভাবে রাজ্য ছেড়ে দিল্লির দরবারে পৌঁছে গেল, তাও অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।
সংসদের শীতকালীন অধিবেশন শুরুর আগের দিন, রবিবার প্রথামাফিক প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ডাকা সর্বদলীয় বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূলের লোকসভার নেতা সুদীপ ব্যানার্জি ও রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন। সভায় উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তাঁর কাছে রাজ্যপালের বিষয়ে নিয়ে তৃণমূল সাংসদরা সরব হন। ওই বৈঠকে শেষের দিকে হাজির হন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
যেহেতু কেন্দ্রই বিভিন্ন রাজ্যে রাজ্যপাল নিয়োগ করে থাকে এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর তাতে সক্রিয় ভূমিকা থাকে, তাই অমিত শাহের কাছেই রাজ্যপালকে নিয়ে অভিযোগ করে তৃণমূল।
অমিত শাহের কাছে রাজ্যপালকে নিয়ে ঠিক কী বলা হয়েছে? সর্বদলীয় বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ডেরেক ও ‘ব্রায়েন জানান, রাজ্যপালকে বিভিন্ন বিষয়ে সহযোগিতার ক্ষেত্রে অনিচ্ছুক নয় পশ্চিমবঙ্গ সরকার। কিন্তু রাজ্য সরকারকে সম্পূর্ণ অন্ধকারে রেখে একের পর এক কাজ করে চলেছেন রাজ্যপাল ধনকড়। তাঁর কাজ দেশের যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর মূল সুরের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়। সংবিধান অনুযায়ী যে কাজ হওয়া উচিত, তা বাধা পাচ্ছে বলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে জানানো হয়েছে।
সূত্রের খবর, রাজ্যপালকে নিয়ে তৃণমূলের এই অভিযোগের বিষয়টি মন দিয়ে শুনেছেন অমিত শাহ। তবে কোনও মন্তব্য করেননি। এরপর, সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশী তৃণমূলের বক্তব্য লিপিবদ্ধ করে প্রধানমন্ত্রীর হাতে তুলে দেন বলে খবর।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়কে ছাত্রদের বিক্ষোভ থেকে উদ্ধার থেকে শুরু করে দুর্গাপুজোর কার্নিভ্যাল বিতর্ক, শিক্ষা, স্বাস্থ্য সহ একাধিক বিষয়ে রাজ্যপালের মন্তব্যে রাজ্য সরকারের সঙ্গে তাঁর দূরত্ব তৈরি হয়েছে। সম্প্রতি ধনকড়ের সিঙ্গুর সফর ও সিঙ্গুর-নন্দীগ্রাম নিয়ে মন্তব্য একেবারেই ভালোভাবে নেয়নি রাজ্যের শাসক দল। তারপরে রয়েছে হেলিকপ্টার বিতর্ক। খোদ মুখ্যমন্ত্রীও নাম না করে রাজ্যপালকে আক্রমণ করে বলেছেন, কেউ কেউ বিজেপির মুখপাত্রের মতো আচরণ করছেন এবং সমান্তরাল প্রশাসন চালানোর চেষ্টা করছেন। এই বিষয়টি কেন্দ্রের দেখা উচিত বলেও মন্তব্য করেন মুখ্যমন্ত্রী। এখন দেখার, রাজ্যপালের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় সরকার কোনও পদক্ষেপ করে কিনা, কিংবা তৃণমূল সংসদের দুই কক্ষে বিষয়টি তুলে হইচই বাধায় কিনা।
Comments are closed.