রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের ক্যাজুয়াল লিভ ছাড়া এবার সব ছুটির আবেদন অনলাইন প্রক্রিয়ায় করতে হবে। নভেম্বর মাস থেকেই এই নিয়ম চালু হয়েছে। লিভ অ্যাপ্লিকেশন, এলটিসি, এইচটিসি, টিসি এবং পে-ফিক্সেশন করতে হবে হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (এইচআরএমএস)-এর মাধ্যমে। সূত্রের খবর, একই সঙ্গে তৈরি হচ্ছে কর্মচারীদের ই-সার্ভিস বুক। এই পদ্ধতির মাধ্যমে রাজ্য সরকারের যাবতীয় প্রশাসনিক কাজে ই-গভর্ন্যান্স চালুর লক্ষ্যমাত্রা আরও এক ধাপ এগোল।
অর্থ দফতর সূত্রে খবর, আগামী বছর থেকে ই-গভর্ন্যান্স প্রক্রিয়াকে সক্রিয়ভাবে কার্যকর করার লক্ষ্য নিয়ে চালু হচ্ছে ই-সার্ভিস বুক। তাই ২০২০ সাল শুরুর আগেই পুরনো ম্যানুয়াল সার্ভিস বুকের পাট শেষ করে ই-সার্ভিস বুক শুরুর বিভিন্ন প্রক্রিয়া চলছে। আগামী ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে সমস্ত রাজ্য সরকারি কর্মচারীকে পুরনো সার্ভিস বুকের ফটোকপি সংশ্লিষ্ট দফতরের প্রধানের কাছে জমা করতে হবে। এই সার্ভিস বুক অনুমোদন প্রক্রিয়ার সময়সীমা ৩১ ডিসেম্বর। সব ম্যানুয়াল সার্ভিস বুক জমা পড়ার সঙ্গে সঙ্গে ডিজিটাইজেশন প্রক্রিয়া শুরু হবে।
ই-সার্ভিস বুক চালু হলে কর্মচারীদের সার্ভিস বুক হারানোর চিন্তা থাকবে না বলে জানানো হয়েছে। অর্থ দফতরের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বিভিন্ন কারণে সার্ভিস বুক হারিয়ে বা নষ্ট হয়ে যাওয়ার ফলে প্রচুর কর্মী সমস্যায় পড়েন। চাকরি থেকে অবসর নেওয়ার পর সুযোগ-সুবিধা পেতে নানা সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। পেনশন পাওয়ার ক্ষেত্রেও অসুবিধার সৃষ্টি হয়। এইসব সমস্যা এড়াতে চালু হচ্ছে ই-সার্ভিস বুক। রাজ্য সরকারের ই-সার্ভিস বুক সংক্রান্ত অনলাইন পরিষেবার নাম ‘সিস্টেম অব ম্যানেজমেন্ট অব সার্ভিস বুক’। এই নতুন ব্যবস্থা চালু হয়ে গেলে কর্মীদের আর সার্ভিস বুক আপডেট করার প্রয়োজন পড়বে না। পাশাপাশি সরকারি সূত্রে খবর, যে সমস্ত কর্মীর কোনও আবেদন আটকে রয়েছে বা জমা করা যায়নি, অথবা হারিয়ে গিয়েছে, ই-সার্ভিস বুক চালু হলে সেক্ষেত্রে তাঁরা আগামী ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত আবেদন করতে পারবেন।
Comments are closed.