নির্ভয়া (Nirbhaya) ধর্ষণ-কাণ্ডে চার সাজাপ্রাপ্তের দ্রুত ফাঁসি চান মিরাট জেলের ফাঁসুড়ে পবন জল্লাদ। ওই চারজনের ফাঁসির জন্য তাঁকে দায়িত্ব দেওয়া হলে তিনি তা গ্রহণ করতে প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন পবন। তিহার জেল কর্তৃপক্ষের তরফে উত্তরপ্রদেশ সরকারের কাছে খুব শীঘ্র দু’জন ফাঁসুড়ে চেয়ে আবেদন করা হয়েছে ৯ ডিসেম্বর। বৃহস্পতিবার উত্তরপ্রদেশের অতিরিক্ত ডিরেক্টর জেনারেল (জেল) আনন্দ কুমার জানান, তাঁরা ফাঁসুড়ে পাঠাতে তৈরি।
এই প্রেক্ষিতেই সংবাদমাধ্যম এএনআই-র মুখোমুখি হয়ে পবন জল্লাদ বলেন, আমি মনে করি, চার ধর্ষণকারীর যত দ্রুত সম্ভব ফাঁসি হওয়া উচিত। এই কাজের জন্য তিহার জেল কর্তৃপক্ষ আমায় ডেকে পাঠালে দিল্লি গিয়ে কর্তব্য পালন করতে চাই। নির্ভয়া (Nirbhaya) ধর্ষণ-কাণ্ডের মতো জঘন্য ও নির্মম কাজে যারা যুক্ত তাদের একমাত্র সাজা হওয়া উচিত ফাঁসি।
কিছুদিন আগেই দিল্লি হাইকোর্ট ২০১২ সালের নির্ভয়া-কাণ্ডে সাজাপ্রাপ্তদের প্রাণভিক্ষার আবেদন খারিজ করে দেয়। প্রথমে দিল্লি হাইকোর্ট এবং সুপ্রিম কোর্ট আসামী বিনয় শর্মার আবেদন খারিজ করে। এরপর কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের কাছে আর্জি জানানো হয়। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকও ওই চারজনের ক্ষমাপ্রার্থনা মঞ্জুর না করার জন্য রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের কাছে আর্জি জানায়। এর পর বিহারের বক্সার জেল কর্তৃপক্ষকে এক সপ্তাহের মধ্যে ১০ টি ফাঁসির দড়ি মজুত করার কথা বলা হয়েছিল। নির্ভয়া মামলায় দোষী সাব্যস্তদের ফাঁসি দেওয়ার জন্যই এই নির্দেশ কি না, তা নিয়ে জল্পনা চলছিল।
নির্ভয়া গণধর্ষণ ও খুনের মামলায় ছয় অভিযুক্তের মধ্যে এর আগে একজন তিহার জেলের কুঠুরিতেই আত্মহত্যা করেছে। অন্য একজন অভিযুক্তকে নাবালক বলে জুভেনাইল কোর্টে পাঠানো হয়। বাকি চার অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আদালত।
Comments are closed.