দেশদ্রোহিতার দায়ে পাকিস্থানের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট পারভেজ মুশারফের মৃত্যুদণ্ড দিল দেশের বিশেষ আদালত। ২০০৭ সালে পাকিস্তানে জরুরি অবস্থা জারির জন্য মুশারফের এই মৃত্যুদণ্ড ঘোষণা করেন পেশওয়ার হাইকোর্টের বিচারপতি ওয়াকার আহমেদ শেঠ, বিচারপতি নজর আকবর ও বিচারপতি শাহিদ করিমের বেঞ্চ।
মঙ্গলবার দুই বিচারপতি প্রাক্তন পাক প্রেসিডেন্টের মৃত্যুদণ্ডের পক্ষে মত দেন। বাকি এক বিচারপতি ছিলেন মৃত্যুদণ্ডের বিপক্ষে।
পাক সংবাদমাধ্যম ‘ডন’ -এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০১৬ সাল থেকেই চিকিৎসার কারণে দুবাইয়ে আছেন মুশারফ। ২০০৭ সালে পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন দেশে জরুরি অবস্থা জারি করেন মুশারফ। সেই সময় পাকিস্তানের প্রধান বিচারপতি-সহ অনেক বিচারপতিকে আটক করা হয় মুশারফের নির্দেশে। দীর্ঘ ৪২ দিন জরুরি অবস্থা জারি থাকার পর ১৫ ডিসেম্বর জরুরি অবস্থা প্রত্যাহার করা হয়। এর একবছর পর পদত্যাগ করেন পারভেজ মুশারফ। ২০০৯ সালে পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্ট জানায়, মুশারফের সিদ্ধান্ত ছিল সংবিধান বিরোধী। এরপরেই দেশ ছাড়েন মুশারফ। এর বছর পাঁচেক পর ব্রিটেন থেকে পাকিস্তানে ফেরেন মুশারফ। লক্ষ্য ছিল পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচনে লড়া। এদিকে ২০১৩ সালে পাকিস্তানের শীর্ষ আদালত জানায়, মুশারফের পদক্ষেপ ও কর্মকাণ্ড রাষ্ট্রদ্রোহিতার সামিল। তিনটি হাই প্রোফাইল মামলায় আগাম জামিন নিয়ে গ্রেফতারি এড়ান মুশারফ। মোট ২২ টি শুনানির পর ২০১৪ সালে সুপ্রিম কোর্টে যান প্রাক্তন পাক প্রেসিডেন্ট। ২০১৬ সালে নিজের চিকিৎসার জন্য দুবাই যাওয়ার ছাড়পত্র পান তিনি। কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই নিজের ‘প্রিয় দেশে’ ফেরার প্রতিশ্রুতি দিলেও আর পাক মাটিতে পা রাখেননি মুশারফ। সেই সময় পাকিস্তানের বিশেষ আদালত তাঁকে পলাতক ঘোষণা করে। অবশেষে মঙ্গলবার দেশদ্রোহিতার অভিযোগ প্রাক্তন প্রেসিডেন্টকে মৃত্যুদণ্ড দিল পাকিস্তানের বিশেষ আদালত।
Comments are closed.