দেশের ১০০ টি গুরুত্বপূর্ণ রুটে ১৫০ টি যাত্রীবাহী ট্রেনের বেসরকারিকরণ নিয়ে আলোচনা তুঙ্গে নীতি আয়োগ ও ভারতীয় রেলের। আলোচনায় ২২ হাজার ৫০০ কোটি টাকার বিনিয়োগ আশা করছে কেন্দ্র।
এই আলোচনাপত্রের নাম ‘প্রাইভেট পার্টিসিপেশন: প্যাসেঞ্জার ট্রেনস’। সেখানে মুম্বই থেকে নিউ দিল্লি, নিউ দিল্লি থেকে পাটনা, হাওড়া-চেন্নাই, এলাহাবাদ-পুণে, ইন্দোর-ওখলা, লখনউ-জম্মু, চেন্নাই- ওখলা, আনন্দ বিহার-ভাগলপুর, সেকেন্দরবাদ-হুয়াহাটি এবং হাওড়া-আনন্দ বিহারের মতো দূরপাল্লার এবং গুরুত্বপূর্ণ রুটের ১৫০ টি ট্রেনের বেসরকারিকরণের কথা বলা হয়েছে।
আলোচনাপত্রে আগ্রহীদের কাছে কী কী প্রস্তাব দেওয়া হবে তার একটা তালিকা তৈরি করা হয়েছে। ১০০ রুটকে ১০ থেকে ১২ টি ক্লাস্টারে ভাগ করা হয়েছে এই আলোচনাপত্রে। পাশাপাশি বলা হয়েছে, যাত্রী স্বাচ্ছন্দ্যের কথা মাথায় রেখে ভাড়া স্থির করতে হবে, আধুনিক ব্যবস্থা রাখতে হবে। কোন কোন ট্রেন কোন কোন স্টেশনে থামবে, তার একটা প্রাথমিক খসড়াও করা হয়েছে। নিলামের সময় এসব নিয়ে আলোচনা হবে।
আলোচনাপত্রে সবচেয়ে বেশি জোর দেওয়া হয়েছে ট্রেনে আধুনিক পরিষেবা ও যাত্রী স্বাচ্ছন্দ্যের উপর। পেপারে বলা হয়েছে, এই বেসরকারি অপারেটর ভারতের হতে পারে। আন্তর্জাতিক সংস্থা হলেও তাদের স্বাগত। নিলামে অংশ নেওয়া প্রত্যেক বেসরকারি সংস্থাকে অন্তত তিনটি ক্লাস্টারের জন্য উপযুক্ত হতে হবে।
রেলের প্রথম বেসরকারিকরণের গত বছরের ৪ অক্টোবর থেকে আইআরসিটিসি-র অধীনে শুরু হয়েছে লখনউ-দিল্লি তেজস এক্সপ্রেসের যাত্রা। যাত্রী স্বাচ্ছন্দ্যে জোর দিয়ে তারা ট্রেন দেরি করলে আংশিক ভাড়া ফেরত, ২৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত যাত্রীর বিমা, ভালো মানের খাবার ও পানীয়ের সুবিধা দিচ্ছে। এই উদ্যোগ সফলের পর ১৫০ টি ট্রেন বেসরকারিকরণের মাধ্যমে ২২ হাজার ৫০০ কোটি টাকার বিনিয়োগ হবে বলে আশাবাদী নীতি আয়োগ ও ভারতীয় রেল।
Comments are closed.