দেশজুড়ে প্রবল আন্দোলন ও বিরোধিতাকে উপেক্ষা করেই সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (CAA Starts In UP) বাস্তবায়িত করার কাজ শুরু করে দিল উত্তরপ্রদেশ সরকার। বস্তুত যোগী রাজ্যই প্রথম, যারা নতুন নাগরিকত্ব আইন লাগুর জন্য সচেষ্ট হল।
রবিবার উত্তরপ্রদেশের অতিরিক্ত মুখ্যসচিব (স্বরাষ্ট্র) অবনীশ অবস্তী জানান, পাকিস্তান, বাংলাদেশ ও আফগানিস্তান, এই তিন প্রতিবেশী দেশ থেকে আসা শরণার্থীদের চিহ্নিত করার কাজ শুরুর জন্য জেলা শাসকদের নির্দেশ পাঠানো হয়েছে। তাঁর কথায়, যে শরণার্থীরা নাগরিকত্ব ছাড়াই দীর্ঘদিন উত্তরপ্রদেশে বসবাস করছেন তাঁদের চিহ্নিত করার প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে। তিনি জানান, এই প্রথম এই ধরনের তালিকা তৈরি হচ্ছে। শুধুমাত্র ‘বৈধ’ শরণার্থীরাই নাগরিকত্ব পাবেন। অতিরিক্ত মুখ্যসচিব (স্বরাষ্ট্র) জানিয়েছেন, লখনউ, শাহজাহানপুর, নয়ডা এবং গাজিয়াবাদে পাকিস্তানি ও বাংলাদেশি শরণার্থীদের ভিড় উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি। মুসলিম শরণার্থীদের একটি তালিকা প্রস্তুত করে তাঁদের নিজেদের দেশে পাঠানো হবে (CAA Starts In UP) বলে সূত্রের খবর।
এদিকে, বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী সুশীল মোদী রবিবার জানিয়েছেন, রাজ্যে এনপিআরের কাজ শুরু হচ্ছে ১৫ মে-র মধ্যে। কোনও সরকারি আধিকারিক যদি কাজ করতে অস্বীকার করেন তাঁর বিরুদ্ধে দৃঢ় পদক্ষেপ করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন সুশীল মোদী। মুখমন্ত্রী নীতিশ কুমারের বদলে উপমুখ্যমন্ত্রী কেন এ ধরনের বিবৃতি দিলেন তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধীরা।
প্রসঙ্গত, সংশোধনী নাগরিকত্ব আইন ও এনআরসির বিরোধিতায় দেশব্যাপী আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে পশ্চিমবঙ্গ, কেরলের মতো অ-বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলি এনপিআরের কাজ মুলতুবি রেখেছে। তাঁদের অভিযোগ, এনপিআর হল এনআরসি-র প্রথম ধাপ। অন্যদিকে, যোগী রাজ্যে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে আন্দোলনকারীদের মৃত্যু নিয়ে দেশে হইচই অব্যাহত। এর মধ্যে ভাঙচুরের ঘটনায় আন্দোলনকারীদের কাছ থেকে ক্ষতিপূরণ আদায় করা এবং সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন সম্পর্কে মুসলিমদের অবহিত করতে তৎপর হয়েছে যোগী আদিত্যনাথ সরকার। এই প্রেক্ষিতে দেশের মধ্যে প্রথম কেন্দ্রের নয়া নাগরিকত্ব আইন প্রয়োগ করার কাজও শুরু করে দিল উত্তরপ্রদেশ।
Comments are closed.