গত অগাস্ট মাস থেকে উপত্যকা জুড়ে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ। জম্মু-কাশ্মীর থেকে বিশেষ মর্যাদা সরিয়ে নেওয়ার পর উপত্যকা জুড়ে জারি করা হয় একাধিক নিষেধাজ্ঞা, বন্দি করা হয় রাজনৈতিক নেতাদের। এই নিষেধাজ্ঞাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে জমা পড়া পিটিশনের প্রেক্ষিতে বিচারপতি এন ভি রমানা, বিচারপতি আর এস রেড্ডি ও বিচারপতি বি আর গাভানের পর্যবেক্ষণ, প্রশাসন ইচ্ছামতো মানুষের স্বাধীনভাবে চলাফেরায় নিষেধাজ্ঞা জারি, ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ, মৌলিক স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করতে পারে না। এই ধরনের নিষেধাজ্ঞা স্বল্প সময়ের জন্য হতে পারে। তাই এক সপ্তাহের মধ্যে জম্মু-কাশ্মীরের উপর সমস্ত নিষেধাজ্ঞা পুনর্বিবেচনা করার জন্য প্রশাসনকে সময় দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। বিচারপতি এন ভি রামানা বলেন, সংবিধানের ১৯ ধারায় যে বাক ও মত প্রকাশের স্বাধীনতার কথা বলা হয়েছে, তার মধ্যে ইন্টারনেট পরিষেবাও পড়বে। পাশাপাশি, শীর্ষ আদালত আরও বলে, নিষেধাজ্ঞা সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য উপত্যকার সাধারণ মানুষকে জানাতে হবে। যাতে কেউ চাইলে একে আইনত চ্যালেঞ্জ জানাতে পারে।
এদিন জম্মু-কাশ্মীরে ১৪৪ ধারা জারি করা কিংবা বড় কোনও জমায়েত নিষিদ্ধ করারও সমালোচনা করেছে সুপ্রিম কোর্ট। তিন বিচারপতির বেঞ্চ জানায়, ভিন্ন মতকে এভাবে অবদমিত করা যায় না। নিরাপত্তা ও মানুষের অধিকারের মধ্যে সূক্ষ্ম ভারসাম্য রাখা জরুরি বলে অভিমত শীর্ষ আদালতের। বিচারপতি রমানা বলেন, এই নিষেধাজ্ঞার পিছনে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য কী ছিল, আমরা তার বিচার করতে বসিনি। নাগরিকদের অধিকার সুনিশ্চিত করাই আমাদের লক্ষ্য।
গত ৫ অগাস্ট জম্মু-কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা প্রত্যাহার করার পর উপত্যকা জুড়ে জারি হয় বিভিন্ন বিধি নিষেধ। এর বিরুদ্ধে একাধিক মামলা দায়ের হয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। এর মধ্যে রয়েছে কংগ্রেস নেতা গুলাম নববি আজাদকে আটক করা নিয়ে মামলা, কাশ্মীর টাইমস পত্রিকার এক্সিকিউটিভ এডিটর অনুরাধা ভাসিনের পিটিশন। শুক্রবার এই সব কটি মামলা শোনে সুপ্রিম কোর্ট।
Comments are closed.