দেশের নিরাপদতম শহরের মধ্যে আবারও একেবারে সামনের সারিতে কলকাতা। ২০১৭ সালের পর ২০১৮ সালের ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরোর (এনসিআরবি) রিপোর্টেও প্রকাশ, কলকাতায় অপরাধপ্রবণতা কমেছে। কেন্দ্রীয় রিপোর্টে ১৫২.২ পয়েন্ট পেয়ে দেশের মধ্যে নিরাপদতম শহরের তকমা পেয়েছে কলকাতা। প্রতি লক্ষে কলকাতায় অপরাধের সংখ্যা সবচেয়ে কম কলকাতায়। এরপরে রয়েছে হায়দরাবাদ, পুণে ও মুম্বই।
তবে ফৌজদারি মামলার (আইপিসি) ক্ষেত্রে দ্বিতীয় স্থানে নেমে গিয়েছে কলকাতা। ভারতের মেট্রো শহর সহ ১৯ টি শহরের মধ্যে তামিলনাড়ুর কোয়েম্বাটুর রয়েছে প্রথমে। যদিও গত দু’বছরের কেন্দ্রীয় রিপোর্টের থেকে ২০১৮ সালে ফৌজদারি অপরাধ আরও কমেছে কলকাতায়। এনসিআরবি-র সাম্প্রতিক রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০১৮ সালে কলকাতার ফৌজদারি অপরাধের হার ১৩৯.৫, যা ২০১৭ সালে ছিল ১৪১.২ এবং ২০১৬ সালে ১৫৯.৬।
তবে দেশের গড় অপরাধের হার যেখানে ৪৭৮.৪ সেখানে কলকাতার এই হার বেশ চমকপ্রদ। ২০১৭ সালে ১৯ টি প্রধান শহরের গড় অপরাধের হার ছিল ৪৬২.২। অর্থাৎ, জাতীয় ক্ষেত্রে ফৌজদারি অপরাধ এই এক বছরে বেড়েছে বলেই জানাচ্ছে কেন্দ্রের রিপোর্ট। যে সব শহরের জনসংখ্যা ২০ লক্ষ, সেই শহরগুলির অপরাধের হার বিচার করেছে এনসিআরবি। সেক্ষেত্রে রাজ্যের রাজধানী বেশ ভালো জায়গায় আছে বলেই কেন্দ্রের রিপোর্ট বলছে।
২০১৬ সাল থেকেই নিরাপদ শহরের মানদণ্ডে কলকাতার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী হল কোয়েম্বাটুর। তবে ২০১৭ ও ২০১৮ দু’বছরই কেন্দ্রের রিপোর্টে কোয়েম্বাটুরকে টপকে এক নম্বরে উঠে এসেছে কলকাতা। শহরের গড় অপরাধের হারও গত পাঁচ বছরের মধ্যে সবচেয়ে কম হয়েছে ২০১৮ সালে। যেখানে ২০১৪ সালে ২৬ হাজার ১৬১ টি অপরাধের মামলা হয়েছে কলকাতায়, ২০১৮ সালে তা নেমেছে ১৯ হাজার ৬৮২ তে। অর্থাৎ, পাঁচ বছরে কলকাতার অপরাধের হার ২৫ শতাংশ কমেছে। তাছাড়া হিংসা কেন্দ্রিক মামলাও কমেছে। ২০১৮ সালে কলকাতায় ৫৫ টি খুনের মামলা দায়ের হয়েছে। খুনের চেষ্টার অভিযোগ দায়ের হয়েছে ১৪৩ টি। এই তুলনায় রাজধানী দিল্লিতে ৪১৬ টি খুনের মামলা দায়ের হয়েছে এবং খুনের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে ৪৭৩ টি। ২০১৮ সালে মুম্বইয়ে ১৬৪ টি খুন এবং ২৮০ টি খুনের চেষ্টার অভিযোগে মামলা দায়ের হয়েছে। ২০১৭ সালে কলকাতায় ধর্ষণের ঘটনা ঘটে ১৫ টি। ২০১৮ সালে হয়েছে ১৪ টি।
রাজ্যের বিচারেও পশ্চিমবঙ্গে তাৎপর্যপূর্ণভাবে কমেছে মহিলাদের প্রতি অপরাধের হার। ২০১৭ সালে মহিলাদের প্রতি অপরাধের মামলা ছিল ৩২ হাজার ৫১৩ টি। ২০১৮ সালের কেন্দ্রীয় রিপোর্টে তা দাঁড়িয়েছে ৩০ হাজার ৩৯৪ টি। তবে রাজ্যভিত্তিক বিচারে অসম, ত্রিপুরা ও হরিয়ানার পরে সবচেয়ে হিংসামূলক অপরাধপ্রবণতা দেখা গিয়েছে পশ্চিমবঙ্গে। ২০১৮ সালে রাজ্যে ১২ হাজার ৬২ টি খুনের চেষ্টা এবং মারধরে গুরতর আহত হওয়ার অভিযোগ উঠেছে ১৭ হাজার ৯৬৯ টি। এ রাজ্যের অপরাধের হার ৪৬.১, যা জম্মু-কাশ্মীর (২৫.৬) এবং উত্তরপ্রদেশের (২৯.২) থেকেও বেশি। তবে মহিলাদের উপর আক্রমণ ও অপরাধের ঘটনা কমেছে।
তবে ফৌজদারি মামলার (আইপিসি) ক্ষেত্রে দ্বিতীয় স্থানে নেমে গিয়েছে কলকাতা। ভারতের মেট্রো শহর সহ ১৯ টি শহরের মধ্যে তামিলনাড়ুর কোয়েম্বাটুর রয়েছে প্রথমে। যদিও গত দু’বছরের কেন্দ্রীয় রিপোর্টের থেকে ২০১৮ সালে ফৌজদারি অপরাধ আরও কমেছে কলকাতায়। এনসিআরবি-র সাম্প্রতিক রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০১৮ সালে কলকাতার ফৌজদারি অপরাধের হার ১৩৯.৫, যা ২০১৭ সালে ছিল ১৪১.২ এবং ২০১৬ সালে ১৫৯.৬।
তবে দেশের গড় অপরাধের হার যেখানে ৪৭৮.৪ সেখানে কলকাতার এই হার বেশ চমকপ্রদ। ২০১৭ সালে ১৯ টি প্রধান শহরের গড় অপরাধের হার ছিল ৪৬২.২। অর্থাৎ, জাতীয় ক্ষেত্রে ফৌজদারি অপরাধ এই এক বছরে বেড়েছে বলেই জানাচ্ছে কেন্দ্রের রিপোর্ট। যে সব শহরের জনসংখ্যা ২০ লক্ষ, সেই শহরগুলির অপরাধের হার বিচার করেছে এনসিআরবি। সেক্ষেত্রে রাজ্যের রাজধানী বেশ ভালো জায়গায় আছে বলেই কেন্দ্রের রিপোর্ট বলছে।
২০১৬ সাল থেকেই নিরাপদ শহরের মানদণ্ডে কলকাতার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী হল কোয়েম্বাটুর। তবে ২০১৭ ও ২০১৮ দু’বছরই কেন্দ্রের রিপোর্টে কোয়েম্বাটুরকে টপকে এক নম্বরে উঠে এসেছে কলকাতা। শহরের গড় অপরাধের হারও গত পাঁচ বছরের মধ্যে সবচেয়ে কম হয়েছে ২০১৮ সালে। যেখানে ২০১৪ সালে ২৬ হাজার ১৬১ টি অপরাধের মামলা হয়েছে কলকাতায়, ২০১৮ সালে তা নেমেছে ১৯ হাজার ৬৮২ তে। অর্থাৎ, পাঁচ বছরে কলকাতার অপরাধের হার ২৫ শতাংশ কমেছে। তাছাড়া হিংসা কেন্দ্রিক মামলাও কমেছে। ২০১৮ সালে কলকাতায় ৫৫ টি খুনের মামলা দায়ের হয়েছে। খুনের চেষ্টার অভিযোগ দায়ের হয়েছে ১৪৩ টি। এই তুলনায় রাজধানী দিল্লিতে ৪১৬ টি খুনের মামলা দায়ের হয়েছে এবং খুনের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে ৪৭৩ টি। ২০১৮ সালে মুম্বইয়ে ১৬৪ টি খুন এবং ২৮০ টি খুনের চেষ্টার অভিযোগে মামলা দায়ের হয়েছে। ২০১৭ সালে কলকাতায় ধর্ষণের ঘটনা ঘটে ১৫ টি। ২০১৮ সালে হয়েছে ১৪ টি।
রাজ্যের বিচারেও পশ্চিমবঙ্গে তাৎপর্যপূর্ণভাবে কমেছে মহিলাদের প্রতি অপরাধের হার। ২০১৭ সালে মহিলাদের প্রতি অপরাধের মামলা ছিল ৩২ হাজার ৫১৩ টি। ২০১৮ সালের কেন্দ্রীয় রিপোর্টে তা দাঁড়িয়েছে ৩০ হাজার ৩৯৪ টি। তবে রাজ্যভিত্তিক বিচারে অসম, ত্রিপুরা ও হরিয়ানার পরে সবচেয়ে হিংসামূলক অপরাধপ্রবণতা দেখা গিয়েছে পশ্চিমবঙ্গে। ২০১৮ সালে রাজ্যে ১২ হাজার ৬২ টি খুনের চেষ্টা এবং মারধরে গুরতর আহত হওয়ার অভিযোগ উঠেছে ১৭ হাজার ৯৬৯ টি। এ রাজ্যের অপরাধের হার ৪৬.১, যা জম্মু-কাশ্মীর (২৫.৬) এবং উত্তরপ্রদেশের (২৯.২) থেকেও বেশি। তবে মহিলাদের উপর আক্রমণ ও অপরাধের ঘটনা কমেছে।
Comments are closed.