বিশ্বজুড়ে ক্রমশ ছড়াচ্ছে ভয়ানক করোনাভাইরাসের আতঙ্ক। চিন, মালয়েশিয়া, ফ্রান্স, আমেরিকা, থাইল্যান্ড, দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান, অস্ট্রেলিয়া, হংকং, থাইল্যান্ড, তাইওয়ান, নেপাল, সিঙ্গাপুর, কানাডার বহু মানুষ এই ভয়ঙ্কর ভাইরাসে আক্রান্ত বলে খবর পাওয়া গিয়েছে, মৃত্যুও হয়েছে একাধিকের। এমনকী ভারতেও বিভিন্ন জায়গার প্রচুর মানুষকে এই ভাইরাস আতঙ্কে চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে রাখা হয়েছে। এর মধ্যেই সরকারিভাবে এই মারণ ভাইরাসের থাবা ভারতে? অন্তত এমনটাই সন্দেহ করছে রাজস্থান সরকার।
রাজস্থানের স্বাস্থ্যমন্ত্রী রঘু শর্মা রবিবার জানান, কিছুদিন আগে চিন থেকে ঘুরে আসা এক চিকিৎসক উয়াহান করোনাভাইরাস আক্রান্ত বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। ওই চিকিৎসককে জয়পুরের এক হাসপাতালে রাখা হয়েছে বলে খবর। সম্প্রতি চিন থেকে এমবিবিএস পাঠ্যক্রম সমাপ্ত করে ওই চিকিৎসক দেশে ফেরেন। তাঁর পরিবারের সদস্যদেরও সাবধান করা হয়েছে। তিনি বলেন, ওই চিকিৎসকের রক্তের নমুনা পাঠানো হয়েছে পুণের ন্যাশনাল ভাইরোলজি ল্যাবরেটরিতে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও জানান, সম্প্রতি রাজস্থানের চারটি জেলার ১৮ জন বাসিন্দা চিন থেকে ফিরেছেন। আগামী ২৮ দিনের জন্য তাঁদের প্রত্যেককে চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। রাজস্থানের স্বাস্থ্যমন্ত্রী কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষবর্ধনকে দেশের প্রতিটি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে স্ক্রিনিং ফেসিলিটি রাখার আবেদন জানিয়েছেন। বর্তমানে কলকাতা, দিল্লি, চেন্নাই সহ মোট সাতটি বিমানবন্দরে এই ব্যবস্থা করা হয়েছে।
মূলত স্তন্যপায়ী প্রাণী ও পাখিরা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়। যেহেতু চিনারা বিভিন্ন প্রাণীর মাংস খেয়ে থাকে, সেখান থেকেই ভয়ঙ্কর ভাইরাস ছড়িয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। এখনও পর্যন্ত চিনে ২,৭০০ জন মানুষ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন, মৃত্যু হয়েছে ৮০ জনের। চিনের উয়াহান প্রদেশ এই ভাইরাস ছড়ানোর প্রাণকেন্দ্র বলে মনে করা হচ্ছে।
ভারতেও কেরল, মহারাষ্ট্র রাজ্যে প্রায় ২০০ জনকে চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে রাখা হয়েছে। উয়াহানে থাকা ২৫০-র বেশি ভারতীয় পড়ুয়াকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য চিন সরকারকে আবেদন করেছে ভারত।
Comments are closed.