এনপিআর ও এনআরসি প্রক্রিয়া মানুষের গোপনীয়তার অধিকার খর্ব করছে, নাগরিকপঞ্জি ও জাতীয় জনগণনাপঞ্জির বিরুদ্ধে তিন কৃষকের মামলার প্রেক্ষিতে কেন্দ্রকে নোটিস পাঠাল সুপ্রিম কোর্ট।
বিহারের তিন কৃষক উদাগর রাম, বিমলেশকুমার যাদব, ও সঞ্জয় সাফি সুপ্রিম কোর্টে জমা দেওয়া এক পিটিশনে কেন্দ্রের নতুন এনপিআর প্রক্রিয়াকে ‘অসাংবিধানিক’ বলে অভিযোগ করেন। এনপিআর ফর্মে এক নতুন কলামে নাগরিকের বাবা-মায়ের জন্মস্থান জানতে চাওয়া হয়েছে। কেন্দ্র এই অংশকে পরে ‘ঐচ্ছিক’ বলে ঘোষণা করলেও কেন এই নয়া কলাম রাখা হয়েছে এবং এনপিআরের সঙ্গে এনআরসি-র গভীর সংযোগ রয়েছে, এই অভিযোগে দেশজুড়ে তীব্র হচ্ছে বিরোধী রাজনৈতিক দল, সংগঠন ও পড়ুয়াদের আন্দোলন। এই পরিস্থিতিতে সুপ্রিম কোর্টে একটি মামলা দায়ের করেন বিহারের তিন কৃষক। পিটিশনে বলা হয়েছে, সংবিধানের ১৪- এ ধারায় কেন্দ্রীয় সরকারকে প্রত্যেক নাগরিকের নাম ‘বাধ্যতামূলকভাবে রেজিস্টার’ করা এবং তাঁদের একটি পরিচয়পত্র দেওয়ার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। ফলস্বরূপ, ২০০৩ সালের নাগরিক আইন আসে। কিন্তু এনআরসি ও এনপিআর প্রক্রিয়ায় সেই অধিকার খর্ব হচ্ছে। মানুষের গোপনীয়তার অধিকারের উপর আঘাত হানা হচ্ছে। প্রত্যেক নাগরিককে তাঁদের নাগরিকত্ব প্রমাণ করার বোঝা চাপিয়ে, কোনও যুক্তিসঙ্গত কারণ ছাড়া তাঁদের নাগরিকত্বের বিষয়ে সন্দেহ করা আইনসঙ্গত নয়।
মামলাকারীদের পক্ষে আইনজীবী এম আর শামসাদ সুপ্রিম কোর্টে সওয়াল করেন, এনপিআর তালিকায় নতুন সংযোজনে ভারতে বাস করা নাগরিকদের নাগরিকত্ব নিয়ে যে প্রশ্ন তোলা হয়েছে, এবং তার প্রমাণে যে তথ্য চাওয়া হচ্ছে তা অসাংবিধানিক।
এই পিটিশনের প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি এস এ বোবদে, বিচারপতি বি আর গাভই ও বিচারপতি সূর্য কান্তের ডিভিশন বেঞ্চ কেন্দ্রকে নোটিস পাঠিয়েছে।
Comments are closed.