এনআরসি, এনপিআর ও নয়া নাগরিক আইন সভ্যতা ও সংস্কৃতির লজ্জা, কোনও সভ্যসমাজ তা মানতে পারে না। গান্ধী মূর্তির পাদদেশে দাঁড়িয়ে তুলির টানে নীরবে, নিঃশব্দে ভারতের বৈচিত্রের মধ্যে ঐক্যের কথাই তুলে ধরলেন বাংলার শিল্পীরা। মেয়ো রোডে নাগরিক আইন, এনআরসি ও এনপিআরের বিরুদ্ধে শিল্পীদের মঞ্চ থেকে মন্তব্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির।
মঙ্গলবার মেয়ো রোডের ওই সভায় মমতা বলেন, কেন্দ্রের এই তিন নীতি ও আইন অন্যায় আবদারের মতো। আইনের নামে ভাগাভাগি, ধর্মীয় ভেদাভেদ কোনওভাবেই বরদাস্ত করব না। শিল্পীরা তাঁদের কাজের মাধ্যমে যে প্রতিবাদ জানালেন তা অন্যরাও অনুসরণ করবে। তিনি আরও বলেন, প্রতিবাদ মানেই সবসময় কথা বলা নয়, নিঃশব্দে ও নীরবেও করা যায়, আজ সেই বার্তা দিলেন বাংলার শিল্পীরা। গান্ধী মূর্তির পাদদেশে দাঁড়িয়ে ভাগাভাগি ও সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে এই নিঃশব্দ ও শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মন্তব্য করেন তিনি। মমতা আরও বলেন, ধর্মের নামে রাজনীতি গ্রহণযোগ্য নয়। এনআরসি, এনপিআর ও সিএএ, এই তিনটিই সমাজ ও সংস্কৃতির লজ্জা। কোনওভাবেই এই আইনের প্রয়োগ করে দেশ ও বাংলা ভাগ করা যাবে না।
এদিন শিল্পী শুভাপ্রসন্নের পাশে দাঁড়িয়ে ছবিও আঁকেন মুখ্যমন্ত্রী। ছবির মাধ্যমে কেন্দ্রের তিন আইন ও নীতির বিরুদ্ধে নিজের প্রতিবাদ প্রকাশ করেন তিনি।
Comments are closed.