দলিত সংরক্ষণ নিয়ে বিজেপি পরিচালিত উত্তরাখণ্ড সরকারের একটি মামলার রায়ে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দিল, সরকারি চাকরিতে সংরক্ষণ এবং পদোন্নতি নাগরিকদের মৌলিক অধিকারের মধ্যে পড়ে না। কাজেই কোনও ভাবেই কোনও রাজ্য সরকার এই সংরক্ষণের সুবিধা তফসিলি জাতি বা জনজাতিকে পাইয়ে দিতে পারে না। এমনকী এরকম কাজে কোনও ব্যক্তিকে বাধ্যও করতে পারে না রাজ্য সরকার।
পাশাপাশি শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, চাকরির ক্ষেত্রে কোন সম্প্রদায় বঞ্চিত হচ্ছে এই সম্পর্কিত কোনও যথাযথ তথ্য ছাড়া কোনও রাজ্য সরকার এভাবে চাকরির সংরক্ষণ দিতে পারে না। আদালত কোনও রাজ্য সরকারকে সেই কাজ করতে বাধ্যও করতে পারে না।
কংগ্রেস এই বিষয়টি নিয়ে সংসদে হইচই বাধানোর পরিকল্পনা করছে। সংসদের অধিবেশন শেষে এই ইস্যুতে তারা ভারত বনধ ডাকারও কথা ভাবছে বলে দলীয় সূত্রের খবর। রবিবার দিল্লিতে এআইসিসি দফতরে এক সাংবাদিক বৈঠকে কংগ্রেসের দুই মুকুল ওয়াসনিক এবং উদিত রাজ জানান, সুপ্রিম কোর্টের এই রায়ের সঙ্গে দল একমত নয়। কংগ্রেসের সদস্যরা সংসদে বিষয়টি তুলবেন। প্রয়োজনে ভারত বনধেরও ডাক দেওয়া হবে। তাঁরা বলেন, উত্তরাখণ্ড সরকারের হয়ে যে আইনজীবীরা আদালতে লড়াই করলেন, তাঁরা কেন্দ্রীয় সরকারের গুরুত্বপূর্ণ লোক। দলিতদের নিয়ে বিজেপির কী ভাবনা, তা এর থেকেই বোঝা যাচ্ছে। বিজেপির পাল্টা বক্তব্য, এই মামলাটি পুরনো। যখন এটি হয়, তখন উত্তরাখণ্ড কংগ্রেসের হাতে ছিল। তারাই সংরক্ষণ না দিয়ে সরকারি পদ পূরণ করে। হাইকোর্ট হয়ে সেই মামলা সুপ্রিম কোর্টে যায়। এর সঙ্গে বিজেপি বা সঙ্ঘের ভাবনার কোনও সম্পর্ক নেই।
উত্তরাখণ্ডে তফসিলি জাতি ও উপজাতিভুক্তদের সহকারী বাস্তকারের পদে উন্নীত করার দাবি নিয়ে করা একটি মামলার প্রেক্ষিতে এই রায় দিয়েছে শীর্ষ আদালত। বিচারপতি এল নাগেশ্বর রাও এবং বিচারপতি হেমন্ত গুপ্তার বেঞ্চ বলেছে, পদোন্নতিতে কোনও সংরক্ষণ চলে না। কর্মক্ষেত্রে দক্ষতার উপর পদোন্নতি নির্ভর করে। এখানে কোনও সংরক্ষণ কাজ করবে না। এভাবে চাকরি পাওয়া ও পদন্নতি যে কোনও নাগরিকেরই মৌলিক অধিকারের মধ্যে পড়ে না।
সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, আইন অনুযায়ী যদি কোনও রাজ্য সরকার মনে করে যে, সেখানকার সরকারি চাকরিতে বা প্রশাসনে সব সম্প্রদায়ের সমান প্রতিনিধিত্ব নেই, তবে সে বিষয়ে ব্যবস্থা করা যেতে পারে। কিন্তু তার মানে এই নয় যে, সরকারি চাকরির সব পদে বা আধিকারিক পদে নিয়োগে সংরক্ষণ দিতে হবে।
সংরক্ষণ সংক্রান্ত উত্তরাখণ্ড হাইকোর্টের রায়ও এদিন বাতিল করেছে সুপ্রিম কোর্ট। সংরক্ষণ সংক্রান্ত ২০১৮ সালের কেন্দ্রীয় সরকারের করা একটি আবেদনের শুনানি এখনও বাকি আছে শীর্ষ আদালতের সাত সদস্যের সাংবিধানিক বেঞ্চে।
কংগ্রেস এই বিষয়টি নিয়ে সংসদে হইচই বাধানোর পরিকল্পনা করছে। সংসদের অধিবেশন শেষে এই ইস্যুতে তারা ভারত বনধ ডাকারও কথা ভাবছে বলে দলীয় সূত্রের খবর। রবিবার দিল্লিতে এআইসিসি দফতরে এক সাংবাদিক বৈঠকে কংগ্রেসের দুই মুকুল ওয়াসনিক এবং উদিত রাজ জানান, সুপ্রিম কোর্টের এই রায়ের সঙ্গে দল একমত নয়। কংগ্রেসের সদস্যরা সংসদে বিষয়টি তুলবেন। প্রয়োজনে ভারত বনধেরও ডাক দেওয়া হবে। তাঁরা বলেন, উত্তরাখণ্ড সরকারের হয়ে যে আইনজীবীরা আদালতে লড়াই করলেন, তাঁরা কেন্দ্রীয় সরকারের গুরুত্বপূর্ণ লোক। দলিতদের নিয়ে বিজেপির কী ভাবনা, তা এর থেকেই বোঝা যাচ্ছে। বিজেপির পাল্টা বক্তব্য, এই মামলাটি পুরনো। যখন এটি হয়, তখন উত্তরাখণ্ড কংগ্রেসের হাতে ছিল। তারাই সংরক্ষণ না দিয়ে সরকারি পদ পূরণ করে। হাইকোর্ট হয়ে সেই মামলা সুপ্রিম কোর্টে যায়। এর সঙ্গে বিজেপি বা সঙ্ঘের ভাবনার কোনও সম্পর্ক নেই।
উত্তরাখণ্ডে তফসিলি জাতি ও উপজাতিভুক্তদের সহকারী বাস্তকারের পদে উন্নীত করার দাবি নিয়ে করা একটি মামলার প্রেক্ষিতে এই রায় দিয়েছে শীর্ষ আদালত। বিচারপতি এল নাগেশ্বর রাও এবং বিচারপতি হেমন্ত গুপ্তার বেঞ্চ বলেছে, পদোন্নতিতে কোনও সংরক্ষণ চলে না। কর্মক্ষেত্রে দক্ষতার উপর পদোন্নতি নির্ভর করে। এখানে কোনও সংরক্ষণ কাজ করবে না। এভাবে চাকরি পাওয়া ও পদন্নতি যে কোনও নাগরিকেরই মৌলিক অধিকারের মধ্যে পড়ে না।
সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, আইন অনুযায়ী যদি কোনও রাজ্য সরকার মনে করে যে, সেখানকার সরকারি চাকরিতে বা প্রশাসনে সব সম্প্রদায়ের সমান প্রতিনিধিত্ব নেই, তবে সে বিষয়ে ব্যবস্থা করা যেতে পারে। কিন্তু তার মানে এই নয় যে, সরকারি চাকরির সব পদে বা আধিকারিক পদে নিয়োগে সংরক্ষণ দিতে হবে।
সংরক্ষণ সংক্রান্ত উত্তরাখণ্ড হাইকোর্টের রায়ও এদিন বাতিল করেছে সুপ্রিম কোর্ট। সংরক্ষণ সংক্রান্ত ২০১৮ সালের কেন্দ্রীয় সরকারের করা একটি আবেদনের শুনানি এখনও বাকি আছে শীর্ষ আদালতের সাত সদস্যের সাংবিধানিক বেঞ্চে।
Comments are closed.