দীর্ঘ তিনবছর পর যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংসদ নির্বাচনকে অবাধ, স্বচ্ছ ও শান্তিপূর্ণ রাখতে পড়ুয়া, শিক্ষক, শিক্ষাকর্মীদের কাছে আবেদন জানালেন উপাচার্য সুরঞ্জন দাস।
আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা, বিজ্ঞান ও ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে ভোট গ্রহণ হবে। ভোট গণনা ও ফল প্রকাশ তার পরের দিনই। তিন বছর পর হতে চলা ছাত্র সংসদের ভোটে যাতে কোনওরকম অবাঞ্ছিত ঘটনা না ঘটে, তার জন্য পড়ুয়া ও শিক্ষক, উভয় শ্রেণির কাছেই আবেদন রাখলেন উপাচার্য। সেই সঙ্গে বিভিন্ন ইস্যুতে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের দৃঢ় অথচ শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের প্রশস্তিও করেন সুরঞ্জন দাস।
১৫ ফেব্রুয়ারি পড়ুয়া, শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীদের উদ্দেশে এক বিবৃতিতে উপাচার্য লিখেছেন, ২০১৭ সালের পর আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি ছাত্র সংসদের ভোট নিয়ে সকলেই ওয়াকিবহাল আছেন। সামাজিক বিচার, সচেতনতা এবং সমতা নিয়ে যাদবপুরের পড়ুয়াদের আন্দোলন সবসময়ই অগ্রগণ্য হয়। যা আমাদের গর্ব। একইভাবে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রভোট শান্তিপূর্ণ ও সুশৃঙ্খলার সঙ্গে সম্পন্ন হওয়ার জন্য ভারতের অন্যন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কাছে দৃষ্টান্ত হয়ে আছে। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা জানেন, হিংসা ও হিংসায় প্রশ্রয় দিয়ে কখনও গণতন্ত্র কাজ করতে পারে না। তাই এবারের ভোটেও শান্তিপূর্ণ গণতান্ত্রিক পরিবেশে ছাত্র ভোট শেষ করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া থেকে শিক্ষক, শিক্ষাকর্মী সকলের কাছে আবেদন জানিয়েছেন উপাচার্য।
সাম্প্রতিক সময়ে ‘হোক কলরব’ থেকে কেন্দ্রের সিএএ, এনআরসি, এনপিআরের বিরুদ্ধে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলন গোটা দেশে নজর কেড়েছে। যদিও মাস কয়েক আগে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে বাম পড়ুয়াদের হাতে হেনস্থা হন বলে অভিযোগ ওঠে। তারপর রাজ্যপাল তথা যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য জগদীপ ধনখড়ের রাজভবন থেকে বিশ্ববিদ্যলয়ে গিয়ে বাবুলকে উদ্ধার করা এবং ডানপন্থী পড়ুয়াদের বিরুদ্ধে ভাঙচুরের অভিযোগ, বাবুলের উপর আক্রমণের প্রতিবাদে বিজেপির মিছিল সহ বেশ কিছু ইস্যুতে খবরের শিরোনামে উঠে আসে যাদবপুর। এই প্রেক্ষিতে দীর্ঘ তিন বছর পর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভোট নিয়ে যাতে নতুন করে অশান্তির সৃষ্টি না হয়, সেই উদ্দেশেই উপাচার্যের এই আবেদন বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
Comments are closed.