জমির রাজস্বের রসিদ, প্যান কার্ড কিংবা ব্যাঙ্কের নথি একজন মানুষের নাগরিকত্ব প্রমাণ করে না, জানাল গুয়াহাটি হাইকোর্ট।
অসমে এনআরসিতে নাম না থাকায় বক্সা জেলার তামুলপুরের ফরেনার্স ট্রাইবুনালে আবেদন করেছিলেন জনৈক জাবেদা বেগম। কিন্তু ট্রাইবুনাল তাঁর আবেদন খারিজ করার পর গুয়াহাটি হাইকোর্টে আবেদন করেন জাবেদা।
গত ১২ ফেব্রুয়ারি জাবেদা বেগমের রিট পিটিশন খারিজ করে দেয় বিচারপতি মনোজিৎ ভুঁইয়া ও বিচারপতি পার্থিবজ্যোতি শইকিয়ার বেঞ্চ। গুয়াহাটি হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ, জমির কর দেওয়ার রসিদ, কেনাবেচার দলিল, ভোটার কার্ড, প্যান কার্ড কিংবা ব্যাঙ্কের নথি, কোনওকিছুই নাগরিকত্বের প্রমাণ নয়।
আরও জানতে ক্লিক করুন, এনআরসিতে নাম তুলতে অসমবাসীর খরচ ৮ হাজার কোটি টাকা!
নাগরিকপঞ্জিতে নাম না থাকার পর বক্সা জেলার তামুলপুর ফরেনার্স ট্রাইবুনালে জাবেদা বেগম আবেদন করেন। ১৯৭১ সালের পর তিনি অসমে এসেছেন, এই কারণ দেখিয়ে তাঁকে বিদেশি ঘোষণা করে ফরেনার্স ট্রাইবুনাল। কিন্তু জাবেদা দাবি করেন, ১৯৬৬ সালে তাঁর ঠাকুরদা ও বাবার নাম ভোটার তালিকায় ছিল। ১৯৭০ সালে তাঁর বাবা ভোটও দেন।
আরও জানতে ক্লিক করুন, রাতারাতি সরকারি ওয়েবসাইট থেকে উধাও অসম এনআরসির তথ্য
যদিও ট্রাইবুনালে জাবেদা বেগমের আবেদন খারিজের পর গুয়াহাটি হাইকোর্টও জানিয়ে দেয়, পিতৃপুরুষের কোনও নির্ভরযোগ্য তথ্য দিতে পারেননি তিনি। তাঁর রিট পিটিশন খারিজের আগে আদালত ২০১৬ সালের জনৈক মহম্মদ বাবুলাম ইসলামের একটি মামলার প্রসঙ্গ তোলে। যেখানে গুয়াহাটি হাইকোর্ট রায়ে বলেছিল, প্যান কার্ড ও ব্যাঙ্কের নথি নাগরিকত্বের প্রমাণ নয়। পাশাপাশি, পঞ্চায়েত প্রধানের সই করা জমি করের রসিদও নাগরিকত্ব প্রমাণ দেয় না বলে ঘোষণা আদালতের।
Comments are closed.